



#মালবাজার: চারদিকে পাহাড় মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে চেল নদী। পাশেই রয়েছে কালিম্পং জেলার অন্যতম পুরানো অম্বিয়ক চাবাগান। বেলা পড়তেই কুয়াশায় ঢেকে যায় আশপাশ। এই রকম সুন্দর মনোরম পরিবেশ মাল মাউন্টেন ট্রাকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সোমবার থেকে শুরু হলো প্রকৃতি পাঠ শিবির। এদিন দুফুর ১টায় জাতীয় পতাকা তুলে শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পদ্মশ্রী করিমুল হক এবং সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন বিশিষ্ট কর্মী রাজেন প্রধান।
উপস্থিত ছিলেন বন্য পশুপ্রেমী শ্যামাপ্রসাদ পান্ডে, মাল পৌর সভার সদস্য অমিতাভ ঘোষ, অম্বিয়ক এলাকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব রাজ লামা, পর্বত আরোহী বিশ্বনাথ পোদ্দার সহ অন্যান্যরা। উদ্বোধন করে পদ্মশ্রী করিমুল হক বলেন, “এই সময়ে ছেলেমেয়েরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। বাইরের পৃথিবী এবং প্রকৃতি সম্পর্কে উদাসীন হয়ে পড়ে পড়ছে। এই একটা সময়ে এই রকম প্রকৃতি শিবিরের প্রয়োজন আছে। পাহাড়ে চড়া, পাহাড়ি নদী পার হওয়া, গাছ ও প্রানীদের চিনতে ৫ দিনের এই ক্যাম্প কাজ দেবে। পর্বত আরোহনের মধ্যে দিয়ে ছেলেমেয়েদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়বে। গড়ে উঠবে প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় সান্নিধ্য”।
রাজেন প্রধান বলেন, এরকম শিবিরে এসে ছেলেমেয়েরা নিজেদের হাতে থালা ধোয়া, টেন্ট সাজানো সহ সব কাজ করে। এর মাধ্যমে আত্মনির্ভরতা বাড়ে, কর্ম ক্ষমতা বাড়ে। প্রকৃতিকে ভালো বাসতে শেখে। এটাই আগামী প্রজন্মের কাছে বিরাট পাওনা। আয়োজক সংস্থার সম্পাদক বলেন, দুবছর করোনা আবহাওয়া থাকায় ক্যাম্প সেরকম হয় নি।এবার পরিস্থিতি একপর্যায়ে স্বাভাবিক আছে। শিবিরে স্কুল কলেজ মিলিয়ে ২৭৫ জন ক্যাম্পার্স এসেছে। এর সাথে থাকছে ৩০ জন গাইড ও ট্রেনার এবং ১০ জন অফিসিয়াল। মোট ৩১৫ জন ক্যাম্পে অংশ নিয়েছে।
৫ দিন ধরে শিবির চলবে। শিবিরে পাহাড়ে চড়া, নদী পার হওয়া, গাছপালা, পাখি, প্রজাপতি এস চেনানো শেখানো হবে। পাশাপাশি শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ড্রিল, পিটি করানো হবে। শেখানো হবে আত্মরক্ষার কৌশল। পঞ্চম দিনে পরীক্ষা হবে এবং শংসা পত্র দেওয়া হবে”। এদিন শিবিরে প্রশিক্ষক ও গাইড হিসাবে ছিলেন দেবাংশু শীল, অসীম মন্ডল, মুচকান চতর্বেদি সহ অন্যান্যরা। বিভিন্ন পশুপাখির নামে টেন্ট গুলির নাম করা হয়েছিল। এদিন এই শিবিরকে কেন্দ্র করে অম্বিয়ক এলাকায় ভালো সারা পড়েছে।
