News Britant

সুখের অন্বেষণে মালয়েশিয়ায় যেতে গিয়ে ফের সাগরে ডুবে আরও ১৮০ রোহিঙ্গার মৃত্যু

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

 

#হাবিবুর রহমান, ঢাকা: সাধারণ রোহিঙ্গাদের আপদ-বিপদেরও কোনও শেষ নেই। পদে পদে বাঁধা-বিপত্তি। সঙ্গী মৃত্যুর পর মৃত্যু কাণ্ড। বাংলাদেশ সরকারের আশ্রিত শরনার্থী শিবিরে নিজ দেশের তস্করদের হাতে প্রাণ যাচ্ছে নিবেদিত মাঝিদের (রোহিঙ্গা নেতা)। তরুণী-কিশোরীদের শারিরীক নির্যাতনই নয়, একেবারে পাচার করে দেওয়া হয় বিদেশের পতিতালয়গুলোতে।

২০১৭ সালে মায়ানমার জান্তা সেনাদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয়শিবিরে গিয়ে ওঠেন। তারও আগে এসেছে চার লাখ রোহিঙ্গা। এখানে জন্মগ্রহণ করেছে আরও দেড়লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শিশু। রোহিঙ্গাদের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ১৩ লক্ষাধিক। এরপরও মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসা থেমে নেই।

এবার বিশ্বের বৃহত্তম শরনার্থী শিবির কক্সবাজার থেকে মালয়েশিয়াগামী নৌকায় চড়া ১৮০জন রোহিঙ্গা মৃত্যু হয়েছে বলে উঠে এসেছে মর্মান্তিক খবর। ওই খবরে বলা হয়, গত ২ ডিসেম্বর পাড়ি দিয়েছিল শরনার্থী বোঝাই একটি নৌকা। কিন্তু ৮ ডিসেম্বরের পর থেকে সেই নৌকার যাত্রীদের সঙ্গে আর কোনোভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই নিখোঁজ ছিল নৌকাটি। রাষ্ট্রসংঘও এই ধরণের কোনও দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছিল।

শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্য হল। পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। কমপক্ষে ১৮০ জন রোহিঙ্গা রোগে-শোকে, পিপাসা-অনিদ্রা, ক্ষুধায় শরণার্থী মারা গিয়েছেন। এখনও বহুজন নিখোঁজ। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। এ নিয়ে যথারীতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। খবরে বলা হয়, নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার চেয়েও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা হয়েছিল। যার কারণে শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছাকাছি গিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়।

শ্রীলঙ্কা উপকূলের মৎস্যজীবীরা নৌকাডুবির কথা জানতে পেরে উপকূলরক্ষীদের খবর দেন। তারা গিয়ে উদ্ধারকাজ চালান। ততক্ষণে অবশ্য সমুদ্রে ১৮০ জন শরণার্থী ডুবে গিয়েছেন। নৌকাটির আর কোনও যাত্রীই বেঁচে নেই বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহেও ভারতের উপকূলে রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা উদ্ধার করা হয়েছিল। এ নৌকায় ক্ষুধা-তৃষ্ণায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নৌকাটিতে ১০০ জনের মতো রোহিঙ্গা ছিলেন। চলতি মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কার উত্তর উপকূল থেকেও ১০৪ জন রোহিঙ্গা-সহ একটি নৌকা উদ্ধার করেছিল শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী।

Leave a Comment