News Britant

দ্রুত বাগান খোলার দাবি শ্রমিকদের

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#মালবাজার: মালিক পক্ষ গরহাজির থাকায় ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙ্গা চাবাগান খোলা নিয়ে কোন নিস্পত্তি হলো না। শ্রমিকরা দ্রুত চাবাগান খোলার দাবি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে মালিক পক্ষের প্রতিনিধি স্বরূপ ম্যানেজমেন্ট স্টাফেরা অফিসে  লক আউট বিঞ্জপ্তি টাঙিয়ে বাগান ছেড়ে চলে যায়। এতেই মারাত্মক সমস্যায় পড়ে চাবাগানে কর্মরত প্রায় ১২০০ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। চাবাগানের শ্রমিকদের থেকে জানা গেছে মঙ্গলবার চাবাগানে মজুরি দেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু, ম্যানেজার সেসব না করে বাগান ছেড়ে চলে গেছে। দ্রুত চাবাগান খুলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য মালবাজারের সহকারী শ্রম আধিকারিকের উদ্যোগে শুক্রবার এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকলেও মালিক পক্ষের কেউ উপস্থিত না থাকায় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। মালের সহকারী শ্রম আধিকারিক চিয়াং শেরপা এনিয়ে জানান, মালিক পক্ষ চিঠি দিয়ে  আগামী ১৩ জানুয়ারির আগে বৈঠকে আসতে পারবে না বলে জানিয়েছে।কিন্তু,আমরা আগামী সোমবার দ্রুত একটি বৈঠকের দিন স্থির করে নিস্পত্তি করার চেষ্টা করব।
এনিয়ে নাগরাকাটা ব্লক তৃনমুল কংগ্রেস সভাপতি তথা শ্রমিক নেতা সঞ্জয় কুজুর বলেন, মালিক পক্ষ যেভাবে বাগান বন্ধ করে চলে গেছে সেটা খবই অনৈতিক। এখন চা গাছ কলম করা, সার ও সেচ দেওয়া  সহ সার্বিক পরিচর্চা করা দরকার। আগামী দুই মাস সঠিক পরিচর্চা না হলে সামনের মরসুমে ফলন পাওয়া সমস্যা হবে।সব সমস্যার ভার শ্রমিকদের উপর এসে পড়বে।মালিক পক্ষ এটা ঠিক করে নি। আমরা শ্রম দপ্তরকে জানিয়েছি ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত লম্বা সময়। অত দেরি করা উচিত হবে না। দ্রুত বৈঠক ডেকে বাগান খোলার ব্যবস্থা করা হোক।
জানাগেছে, নাগরাকাটা ব্লকের বনাঞ্চল ঘেরা  জলঢাকা ও ডায়না নদীর দোয়াব এলাকার এই চাবাগানটি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায় ২০১৯ সালে এই চাবাগান কেনেন। পরে তা ভাই জয়ন্ত রায়ের অনুকূলে হস্তান্তর করেন। পরে জয়ন্ত রায় ঘেটেলি ব্লকের সামসিং চাবাগানটি কেনেন। প্রথম দিকে ঠিক চলছিল। প্রসন্ন রায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সমস্যা হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে বাগান চালানোর অক্ষমতার কথা জানিয়ে সামসিং ছেড়ে চাবাগান কর্তৃপক্ষ চলে যান। বছরের শেষ সপ্তাহে লকআউট নোটিশ দিয়ে বামনডাঙ্গা ছেরে চলে গেছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের দাবি দ্রুত বাগান খুলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হোক।

Leave a Comment