



#হাবিবুর রহমান, ঢাকা: সদ্য চীন থেকে ঢাকায় আগত এক চীনা নাগরিকের দেহে করোনার ধরণ ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭ শনাক্ত হয়েছে। তবে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ আছেন। সম্প্রতি চিন থেকে দেশটির চার নাগরিক ঢাকায় এসেছেন। বিমানবন্দরে তাদের পরীক্ষা করা হয়। সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদের সবাইকে আইসোলেশনে নিয়ে রাখা হয়। এরপর একজনের দেহে নতুন ভ্যারিয়েন্ট করোনার বিএফ.৭ শনাক্ত হয়।
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরীক্ষায় তাঁদের করোনা ধরা পড়ে। তাঁদের মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সম্প্রতি চিনে আবার ব্যাপকভাবে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরে আবার চিনসহ কয়েকটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে চিনা নাগরিকদের জন্য করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে।
রবিবার এ তথ্য জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেছেন, ‘নতুন উপধরণ নিয়ে আমরা ভীত নই। আমরা চাই না কেউ করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্যানিক হয়ে যাক। কারণ, আমাদের সংক্রমণের হার বর্তমানে ১ শতাংশেরও কম।
তবে নতুন উপধরনকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি, সংক্রমণের হার যেন কোনোভাবেই বাড়তে না পারে, আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে খবর মিলেছে, চিনের শুধু ঝেজিয়াং প্রদেশেই দিনে ১০ লাখ ব্যক্তির করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। সাংহাই শহরে মরদেহ সৎকারের একটি ঘরের কাছে করোনায় মারা যাওয়া একজনের হাতে তাঁর স্বজনের ছবি ধরা পড়ে।
