News Britant

গোপালের বনভোজনের মাতোয়ারা হলো ক্ষুদিরাম পল্লীর মানুষ

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

 

#মালবাজারঃ বনভোজন সে তো শীতে অহরহই হয়। তবে এ বনভোজন একেবারেই অন্য ধাঁচের। সাত সকালেই গোপাল ঠাকুরের প্রতিমা সসম্মানে শয়নকক্ষ থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। তারপর একত্রিতভাবে মণ্ডপে স্থাপন করা হয়। একটি কিংবা দুটি নয় ২৫ টি গোপাল ঠাকুরের প্রতিমা পূজিত হল। অভিনবভাবেই গোপাল ঠাকুরের বনভোজনও হল। মাল সহ লাগোয়া ক্ষুদিরাম পল্লীর বাসিন্দারা সম্মিলিতভাবেই গোপালের বনভোজনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
বনভোজনের দারুন সাড়াও মিলল। মাল শহরের পাশেই ক্ষুদিরাম পল্লী এলাকা আছে। এখানেই মঙ্গলবার গোপালের বনভোজন হল। মঞ্জু রানী বসাক, বিমলা পাল, বিশাল সূত্রধর, মনিতা সূত্রধর, রুমা বসাক প্রমুখেরা সম্মিলিত উদ্যোগে শামিল ছিলেন। এ এলাকার বহু মানুষ ঐকান্তিকভাবেই গোপালের বনভোজনের অংশ নেন। মঙ্গলবার সকাল এমনিতেই ছিল কুয়াশা মাখা। এর মধ্যেই শুরু হয়ে যায় গোপালের বনভোজনের প্রস্তুতি।
বাড়ি বাড়ি থেকে গোপাল ঠাকুর নিয়ে এসে একটি ফাঁকা স্থানে মণ্ডপে রেখে পুজো অর্চনা শুরু হয়। এলাকার গৃহবধূ মঞ্জু রানী বসাক বলেন আমরা তিন বছর ধরে গোপালের বনভোজন আয়োজন করছি। করোনা পর্বে বড় মাপের আয়োজন করা যায় নি। এবার সকলে আড়ম্বরপূর্ণ ভাবেই সম্মিলিতভাবে আয়োজন করেছি। এলাকার কিশোর বিশাল সূত্রধর বলেন গোপাল ঠাকুরকে ভক্তিভরেই পুজো করা হয়েছে। তারপরই বনভোজনের প্রস্তুতি শুরু করি।
বনভোজনের বেগুন, আলু, মিষ্টি কুমড়ো, স্কোয়াশ, ফুলকপি ভাজা ছিল। এছাড়া সুক্তর ডাল, পনীর, বকফুল, লুচি কচু শাক, পায়েস, চাটনি, কোন কিছুই বাদ ছিল না। গোপাল ঠাকুরকে পুলি পিঠের, দুধপুলি ইত্যাদি ও প্রসাদ দেওয়া হয়। এলাকার আর এক যুবক অলোক পাল বলেন আমাদের পুজো ও বনভোজনে বহু মানুষ সামিল হন। সোভ্রাতৃত্বের বাতাবরণ ছিল। এবারও দারুন সাড়া পেয়েছি। দুপুর পর্যন্ত পুজো অর্চনা চলে। এর পর বনভোজনের খাওয়া দাওয়া হয়। সন্ধ্যায় সংকীর্তন আয়োজন রয়েছে। রাতে খিচুড়ি লাবরার আয়োজন করা হয়েছে। তাতেও কয়েকশো মানুষ সামিল হবে বলে আশা।

Leave a Comment