



#মালবাজার: আবারও প্রায় ১ মাস বাদে মেটেলি ব্লকের ইঙ্গু চাবাগানে রাস্তার দাবীতে “নো-রোড, নো-ভোট” স্লোগান উঠলো। এবার বাসিন্দারা অ্যাল্টিমেটাম দিয়েছে ১০ দিনের। ব্যবস্থা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। যদিও জেলা পরিষদ দ্রুত রাস্তা তৈরির আশ্বাস দিয়েছে। ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকে কালিম্পং জেলা লাগোয়া প্রত্যন্ত ইঙ্গু চাবাগান। সহস্রাধিক পরিবারের বাস।সবাই চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের সদস্য।


মেটেলি বাজার থেকে ৯ কিমি দূরে এ চাবাগানে যাওয়ার একমাত্র লাইফ লাইন রাজ্য সরকারের জেলা পরিষদের রাস্তা। মাঝে রয়েছে কুর্তি নদীর উপর জরাজীর্ণ সেতু। কয়েক বছর আগে উত্তর বঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে মেটেলি বাজার জুরন্তি চাবাগান পর্যন্ত রাস্তার নবনির্মান হয়। কিন্তু, জুরন্তি চাবাগান থেকে ইঙ্গু চাবাগান পর্যন্ত ৪ কিমি রাস্তার সংস্কার হয়। বাসিন্দাদের দাবী দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে রাস্তার সংস্কার হয়নি। বিভিন্ন সময় নেতারা এসেছে রাস্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি। অথচ এই পথ ধরে চাবাগানের পন্যবাহী ট্রাক, স্কুল বাস সহ প্রতিদিন বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়। বেহাল রাস্তার জন্য মাঝেমধ্যে দূর্ঘটনা ঘটে। রাস্তার দাবীতে গত মাসে নো-রোড নো-ভোট স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলো চাবাগানে বাসকারী কয়েকশ মানুষ। আবারও গত মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখিয়ে চরম হুমকি দেয়। চাবাগানের শ্রমিক নেতা দীপক রাউতিয়া বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর রাস্তার জন্য আমরা জেলা পরিষদ, জেলা শাসক ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছি।


কিন্তু, আজ পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। আন্দোলন ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই। চাবাগানের সমাজ সেবী রীতা টোপ্পো বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর আমরা নো রোড নো ভোট স্লোগান তুলেছিলাম। আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে কোন কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। চাবাগানের ম্যানেজার মুকুল ভার্মা বলেন, এই রাস্তা চাবাগানের লাইফ লাইন। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। অনেকেই রাস্তার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

কিন্তু, কাজ হয়নি। মাঝে চা বাগানের পক্ষ থেকে কিছু সংস্কার হয়েছিল। রাস্তার নব নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। এনিয়ে জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ জানান, রাস্তাটি নির্মাণ খুব জরুরি। ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ডিপিআর সহ অন্যান্য কাজ শুরু হয়েছে। সত্বর রাস্তাটি নব রুপে নির্মাণ হবে।






