



#রায়গঞ্জঃ বিগত চার দিন ধরে উত্তর বঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল শৈত্য প্রবাহ। সেই শৈত্য প্রবাহের মাঝেই মৃত্যু হল রায়গঞ্জ ব্লকের ১১ নম্বর বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের শাকধূয়া গ্রামের অসহায় আদিবাসী বাসিন্দা লোধু সরেনের। এর আগে আমাদের সংবাদমাধ্যমই সর্বপ্রথম লোধু সরেনের অসহয়তার কথা প্রকাশ্যে আনে। জানানো হয়েছিল, বছর আশির বৃদ্ধ লোধু সরেনের প্রচন্ড কষ্টের কথা। গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন, গোয়ালগাঁওয়ের বাসিন্দা লোধু সরেন যখন কর্মক্ষম ছিলেন, তখন এক জমিদার পরিবারে নৈশ প্রহরীর সাথে গরু, ছাগল দেখাশোনা করতেন।


কিন্তু বয়স বাড়তেই কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেয় সেই পরিবার। তখন থেকে বিগত প্রায় ৩০ বছর ধরে গৃহহীন অবস্থায় শাকধুয়া হাটের মধ্যে একটি দরজাহীন ভাঙা দোকান ঘরে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কাটাতেই ওই অসহায় বৃদ্ধ। নিজের বলতে তার কেউই নেই। স্থানীয় বিধায়ক সৌমেন রায় একটি হুইল চেয়ার দেওয়ায় প্রাতঃকৃত্য টুকু হয়ত লোকচক্ষুর আড়ালে করতে পারছেন। নইলে সেটাও করতে হত চালচুলোহীন জায়গাতেই।


আমাদের সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হতেই লোধু সরেনের পাশে দাঁড়ায় রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসন। দেওয়া হয় থাকা ও খাওয়ার নিশ্চয়তা। তারপর কুলিক নদীর বুক দিয়ে বয়ে গেছে বহু জল। অবশেষে শেষ রক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হল লোধু সরেনের। স্থানীয় শ্মশানে তার শেষ কাজ সম্পন্ন করার সময় উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক অভীক সামন্ত সহ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য।


এলাকার উপপ্রধান রফিকুল আলম বলেন, তীব্র ঠান্ডায় লোধু সরেন মারা গেছেন। লোধু সরেনের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ১১ নম্বর বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের শাকধুয়া গ্রামে।







