



#চন্দ্র নারায়ণ সাহা, রায়গঞ্জঃ কথায় বলে, লক্ষী আর সরস্বতী একসাথে থাকলে, ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়। এমনই সুপ্রসন্ন ভাগ্যের সন্ধান পাওয়া গেল আমাদের প্রতিনিধির চোখে। এ’যেন একেবারে বিদ্যার পীঠস্থানে লক্ষীর বাসা। রায়গঞ্জ ব্লকের ১২ নম্বর বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চা হাই স্কুলের চাল রাখার ঘরেই বাসা বেঁধেছে এক জোড়া পেঁচা। আর এই পেঁচা এখন বর্তমানে ছানা পোনা নিয়ে সংসারী হয়েছে এই চালের ঘরেই। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে, এদের কর্মকাণ্ড।


পড়ুয়াদের কেউ কেউ উৎসাহী চোখে ভিড় জমালেও পেঁচাদের যাতে কোনো ক্ষতি বা ভয়ের পরিবেশ তৈরি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ছাড়াও শিক্ষা কর্মীরা। স্কুলের শিক্ষিকা রূপা চৌধুরী বলেন, গত বছর আমাদের এই চালের ঘরে ৭টি পেঁচার বাচ্চা বড় হয়েছে। এবছর আবারও পেঁচার বাচ্চা দেখা যাচ্ছে। পড়ুয়াদেরকে এই পেঁচা থেকে দূরে রাখা হয়েছে। স্কুলের শিক্ষক তিলক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা স্কুলের ভেতরে পেঁচার বাচ্চা হয়েছে দেখে ভীষন খুশি।


ওরা নিশ্চিন্তে বাচ্চাদের বড় করছে, আমরা কোনোরকম বাধা দিইনি। বর্তমান পরিবেশ পরিবর্তনের যুগে বাসস্থান কমে আসায় ওরা এভাবে ঘরের ভেতরে ছানার জন্ম দিয়েছে। ওদেরকে কোনো রকম ডিসটার্ব করা হচ্ছে না। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার রায় বলেন, পৃথিবীর স্বাভাবিক পরিবেশ আজ বিপন্ন। খাদ্যশৃঙ্খলে বিভিন্ন প্রানীর অবস্থানের ভারসাম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই প্রতিটি প্রাণীই যে পরিবেশ রক্ষার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ, সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ওই পেঁচা গুলোকে নিজের মত বাঁচতে দেওয়া হয়েছে।


মালঞ্চা হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের এই পেঁচা বাঁচানোকে সমর্থন জানিয়েছেন রায়গঞ্জের বিশিষ্ট পক্ষী বিশারদ তথা শিক্ষক ক্ষীরোদ সরকার। তিনি বলেন, ওই পেঁচা গুলোকে BARN OWL বলে। যার বাংলা নাম হল লক্ষী পেঁচা। বছরের যে কোনো সময় এরা প্রজনন করতে পারে। তবে প্রজননের জন্য শুষ্ক আবহাওয়া বেশি পছন্দ করে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে ওদের রক্ষা করা ভীষণ জরুরি।







