News Britant

নেতাজী বিষয়ক বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় রাজ্যের সেরা, সংসদে চললেন রায়গঞ্জের অনিন্দ্য মৈত্র

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

 

#চন্দ্র নারায়ণ সাহা, রায়গঞ্জঃ বুধবার রায়গঞ্জ শহরের মুকুটে জুড়লো আরও একটি রাজ্য সেরা হওয়ার পালক। সমগ্র পশ্চিম বঙ্গ,  আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে নেতাজী বিষয়ক বক্তৃতা প্রতিযোগিতায়  সেরা হয়ে দিল্লির জাতীয় সংসদে নিজের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য  চললেন রায়গঞ্জের বীরনগরের বাসিন্দা অনিন্দ্য মৈত্র। তাঁর এই সফলতায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন রায়গঞ্জ শহরের নেতাজি অনুরাগীরাও।

জানা গেছে, ভারত সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও  নেহেরু যুব কেন্দ্রের পরিচালনায় দেশ ব্যাপী নেতাজী বিষয়ক একটি বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এতে জেলা পর্যায়ের পর রাজ্যস্তর এবং জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতায় গত ৯ই জানুয়ারি রায়গঞ্জ ব্লকের মালঞ্চা হাই স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় জেলা ভিত্তিক এই বক্তৃতা প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল মালঞ্চা স্পোর্টস একাডেমী।

এদিন রায়গঞ্জের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কর্মরত অনিন্দ্য বাবু জানান, কেলায় সেরা হওয়ার পর, গতকাল অনলাইনে সমগ্র পশ্চিম বঙ্গ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রতিযোগিরা অংশ নিয়েছিলেন। এতে এই জোনের সেরা বক্তৃতা হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে।  তিনি জানান, এরপর জাতীয় স্তরে অংশ গ্রহণ করতে হবে। সেখানে অংশ নেওয়ার জন্য ভিডিও জমা দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল স্ক্রিনিং হবে। জাতীয় স্তর থেকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেখানে দিল্লি গিয়ে সংসদে বক্তব্য রাখার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

তবে পুরো বিষয়টি এখনও অজানা বলেই জানালেন অনিন্দ্য বাবু। রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের  প্রাক্তনী অনিন্দ্য  এর আগে একবার ছাত্র যুব স্তরে রাজ্য পর্যায়ে অংশ নিয়েছিলেন। তার আগে ২০০৯ সালে রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুল থেকে জাতীয় পর্যায়ের বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এই নিয়ে দ্বিতীয় বার রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবার সুযোগ পেলাম। ভীষণ ভালো লাগছে। ক্রিকেট খেলা ও ক্রিকেটের অন্ধ অনুরাগী অনিন্দ্য যখন এই কথা গুলো বলছিলেন, তখন সামনে প্রয়াত বাবা সুমন্ত মৈত্রর ছবি।

পাশে ছিলেন তাঁর মা গোপা মৈত্র ও স্ত্রী মরিয়ম সরকার মৈত্র। বরাবরই পড়াশোনায় আগ্রহী অনিন্দ্য বাবু উত্তর বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন নিয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার আগেই রায়গঞ্জ কোর্টে শুরু করেন কর্মজীবন। কিন্তু সেই চাকরিও ছেড়ে দিয়ে চলে যান রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে।  যার নেশা সবরকম বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া, তিনি যে এমন সাফল্য লাভ করবেন, সেটা ভালো করেই জানেন তার বন্ধু ও পরিজনেরা। বন্ধু অর্ক রায় বলেন, অনিন্দ্যকে শুভেচ্ছা রইলো। জাতীয় স্তরে সফল হয়ে ফিরে আসুক। উল্লেখ্য, জাতীয় পর্যায়ের সেরারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করার সুযোগ পাবে ও ভারতীয় সংসদে বক্তব্য রাখতে পারবে, এমনটাই জানালেন রায়গঞ্জের সংগঠকেরা।

Leave a Comment