




#মালবাজার: ৫১ দিন চিকিৎসার চেষ্টা করেও অবশেষে নাগরাকাটা ব্লকের খেরকাটা জঙ্গলে অসুস্থ হাতিটির মৃত্যু হল। শুক্রবার সকালে হাতিটি মারা গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা অনুজ ওঁরাও, প্রীতম রায়, সুজন দর্জি’রা জানান এদিন সকালেও তারা হাতিটিকে দেখতে গেলে সেখানে পাহারারত বনকর্মীদের কাছ থেকে তারা জানতে পারেন যে, হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।


তবে তাদেরও হাতিটিকে দেখতে যেতে দেওয়া হয় নাই। তারা বনকর্মীদের ট্রলি করে জ্বালানি কাঠ, পাট কাঠি ও টায়ার ঘটনাস্থলে নিয়ে আসতে দেখেন, পাশাপাশি সকাল থেকেই একটি জেসিবি’কে সেখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। যা দেখে স্থানীয়রা মনে করছেন – মৃত হাতিটিকে ঘটনাস্থলেই দাহ করার পরিকল্পনা করেছে বনদপ্তর, সেই অনুযায়ীই এমন তোড়জোড়।


যদিও বনদপ্তরের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত আধিকারিক ও কর্মীরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান নাই, ঘটনাটি নিয়ে কোনও সাংবাদিক সন্মেলন এর আয়োজনও বনদপ্তর করে নাই। হাতিটির শারিরীক অবস্থা সম্পর্কে কোনও প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঘটনাস্থল থেকেও দেওয়া হয় নাই।


পাশাপাশি শুক্রবারও ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের প্রবেশে বনকর্মীরা বাঁধা দেন, ফলে সাংবাদিকদের পক্ষেও ঘটনার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় নাই। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানা না গেলেও, স্থানীয় সূত্রের মাধ্যমে পাওয়া খবর অনুযায়ী মনে করা হচ্ছে হাতিটি মারা গিয়েছে। বনদপ্তরের এমন আচরণে স্থানীয় মহলে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর হাতিটিকে দেখতে পায় বনকর্মীরা। সেটির পিছনের ডান পা’য়ে ফোলা ছিল। হাটাচলা করতে পারছিলো না।এরপর বনদপ্তর চিকিৎসা শুরু করে। মাঝে তুলে গরুমারা প্রকৃতি বিক্ষন কেন্দ্রে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। সব চেষ্টা বিফল করে শুক্রবার সকালে মারা যায় হাতিটি বলে স্থানীয় সুত্রে খবর।






