News Britant

সর্বধর্মসমন্বয়ের নিদর্শন, ৩৫তম বর্ষে দুর্লভপুর গঙ্গা মেলা

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#চন্দ্র নারায়ণ সাহা, ইটাহারঃ সোমবার দুপুর থেকে শুরু হল ইটাহার থানার দূর্লভপুরের গঙ্গা মেলা। নানা রকমের পসরা সাজিয়ে বসা দোকানপাট, মাতৃ পুজো নিয়ে এদিন দুপুর থেকে জমজমাট হয়ে উঠল গামারি নদীর পাড়ের এই গঙ্গা মেলা। সন্ধ্যা হতে হতেই জমজমাট হতে শুরু করে মেলা চত্বর। চলে আসেন দূরদূরান্তের বহু মানুষ। স্থানীয় দূর্লভপুর, নন্দনগ্রাম, শ্রীপুর, রামডাঙা, চালুনীয়া, মহেশপুর, আলডান্ডা থেকে মেলার টানে ছুটে এসেছেন বহু মানুষ।

জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে ইটাহার থানার দূর্লভপুর গ্রামের মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ পৌষ সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে এই মেলার সূচনা করেন। তারপর থেকে  বিগত ৩৫ বছর ধরে এই মেলা উদযাপিত হয়ে আসছে। এদিন মেলায় গিয়ে দেখা গেল, মেলায় উপস্থিত হয়েছেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ। জিলিপি, মাটি ও কাঠের জিনিসপত্র, শাক, সবজি, এগরোল, মোঘলাই পরটা সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে এই মেলায়।

বিকিকিনি চলছে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড়ে, ক্রমাগত তীক্ষ্ণ স্বরে বেজে চলেছে হিন্দি গানের সুর। তারই মধ্যে ব্যস্ত মেলা উদ্যোক্তারাও। রামচন্দ্র সূত্রধর, আশীষ সূত্রধর, অশোক সূত্রধর , উৎপল সূত্রধরের বলেন, এই মেলাকে কেন্দ্র করে সারাবছর ধরেই চলে প্রস্তুতি। এদিন সকাল থেকে মেলা শুরু হয়েছে। চলবে গভীর রাত পর্যন্ত।

গ্রামীন এই মেলা গুলো একদিকে যেমন স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আসে, তেমনি এই মেলা গুলিই স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাপনের রসদ হিসেবে ভূমিকা গ্রহণ করে করে, এমনটাই জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা তথা শিক্ষক কাঞ্চন রায়। স্বরূপ সূত্রধর, কৌশিক সূত্রধরের মত স্কুল পড়ুয়ারাও সকাল থেকে প্রস্তুতি নিয়েছে মেলায় আসার জন্য। তাই স্কুল থেকে ফিরেই তারা চলে এসেছে মেলা চত্বরে। তারা বলে, গত ২ বছর করোনা আবহে মেলা জমেনি। এবার খুব মজা করছি। আমাদের সকলের আনন্দ বেড়েছে দ্বিগুণ। মেলা চলবে গভীর রাত পর্যন্ত।

Leave a Comment