News Britant

রেলস্টেশন ও ৭নম্বর ওয়ার্ডে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে চলে নেশা, উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#মালবাজার: মালবাজার শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান রেল স্টেশন। এখানে রয়েছে রেলের কম্পুটারাইজড আসন সংরক্ষণ কেন্দ্র। সারাদিনে কয়েকটি ট্রেন এই স্টেশনের উপর দিয়ে চলাচল করে। পাশেই রয়েছে ডেইলি মার্কেট।প্লাটফর্ম পেরিয়ে দক্ষিণে গেলেই শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অংশ। এহেন এক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বেলা গড়াতেই দেখা যাবে যাত্রীদের বসার জায়গায় জটলা বেঁধে বসে রয়েছে কিছু অল্প বয়সী ছেলেমেয়ে। এরকম জটলা দেখা যায় পাশের বটগাছ তলায় শিব মন্দির সংলগ্ন এলাকা ও আন্ডারপাস সংলগ্ন এলাকায়।

কাছে গেলেই বোঝা দেখা যাবে কারো হাতে সিগারেট, আবার কেউ ফোন নিয়ে বুঁদ।স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এরা সবাই ড্রাগ এডিক্টেট ছেলেমেয়ে। স্টেশনের আসেপাশে রয়েছে কয়েক জন ড্রাগ প্যাডলার। যাদের মাধ্যমে বিভিন্ন নেশা জাত দ্রব্য, ট্যাবলেট চলে যায় নেশাড়ুদের হাতে। স্টেশনের পাশে জলের ট্যাংকের নিচে ও আশ পাশের ঝোপেঝাড়ে নজর করলেই দেখা যাবে পড়ে রয়েছে বিভিন্ন কাফ সিরাপের খালি শিশি,  বিভিন্ন নেশা করার ট্যাবলেটে খালি খাপ ও নানান সাইজের মদের বোতল। 

এর আগে বেশ কয়েকবার পুলিশের পক্ষ থেকে এই এলাকায় অভিযান করা হয়েছে। আটক করা হয় কয়েক জনকে। মাঝে একবার মাল থানার পুলিশের পক্ষ থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক সচেতনতা শিবিরও করা হয়েছিল।কিন্তু, তাতেও অবস্থার যে পরিবর্তন হয়েছে তার জোর গলায় বলা যায় না। স্থানীয় বাসিন্দা মহঃ চাঁদ বলেন, আমার বাড়ি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। স্টেশন রোডে আমার মনিহারি দ্রব্যের দোকান রয়েছে। রোজ সকাল ও সন্ধ্যায় শর্টকাটে স্টেশনের উপর দিয়ে বাড়ি। দেখি কিছু ছেলেমেয়ে এদিক ওদিক বসে আড্ডা দিচ্ছে। এরা সবাই নানান নেশা করে।যখন ট্রেন থাকেনা তখন প্লাটফর্মে আড্ডা কেন?  রেল পুলিশের উচিত এসব বন্ধ করতে নিয়মিত অভিযান করা”।

স্টেশনের দক্ষিণ দিকে রয়েছে শহরের ৭,১৪,ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। রয়েছে কয়েকটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল। প্রতিদিন কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে এই স্টেশন দিয়ে কিম্বা আন্ডারপাশ দিয়ে যাতায়াত করে। এই কারণে এই এলাকা বেছে নিয়েছে ড্রাগ প্যাডলাররা। বেতগুড়ি চাবাগানের এক কর্মী দীলিপ পান্না জানান, মাঝেমধ্যে স্কুলে আসতে হয়। স্টেশন দিয়ে যেতেই নজরে আসে অল্প বয়সীদের নেশার প্রবনতা। এটা ভয়ংকর খারাপ এসব বন্ধ হওয়া উচিত। 

শুধু রেল স্টেশন চত্বর নয়, শহরে আরও কয়েকটি এরকম নেশার ঠেক রয়েছে। খবর নিয়ে জানাগেছে শহরের বেশ কয়েকজন অবিভাবক বাড়ির ছেলেমেয়েদের নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। এতেই উদ্বিগ্ন শহর ও আশ পাশের শুভ বুদ্ধির মানুষ।

Leave a Comment