



#সুমন রায়, রায়গঞ্জঃ ডালখোলা থেকে গাজল ভায়া রায়গঞ্জ ও ইটাহার রেলপথের কাজ শুরু হলেও, কেন সেই কাজ দীর্ঘদিন ধরে থমকে রয়েছে তা জানতে চেয়ে গত ২ রা নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা অঞ্জন রায় সহ প্রায় একশো জন মামলাকারী। সেই মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের তরফ থেকে রেল ও রাজ্যের কাছে ২ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই পদক্ষেপে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা মামলাকারী অঞ্জন রায়।
তিনি বলেন, রাজ্য ও রেল উভয় পক্ষের আইনজীবীর কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট।কিকারনে এই প্রকল্প থমকে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্ষেত্রে কী বাধা রয়েছে তার একটি রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে সেদিন। অন্যদিকে ডালখোলা থেকে গাজল প্রায় ৮০ কিলোমিটার এই রেলপথের যদি বাস্তবায়ন হয় তবে রায়গঞ্জের মানুষকে বারসই স্টেশন হয়ে ঘুরে মালদা যাওয়ার বদলে সরাসরি মালদা স্টেশন পৌঁছাতে পারবে। এছাড়াও রায়গঞ্জবাসী একটি বিকল্প রেলপথ পাবে, পাশাপাশি মেইন লাইনের মধ্যে ঢুকে পড়বে রায়গঞ্জ রেল স্টেশন। যার ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতে সাথে সরাসরি যোগাযোগে আসবে রায়গঞ্জ।
অন্যদিকে হাইকোর্টের এই শুনানি নিয়ে মামলাকারী অঞ্জন রায়ের আইনজীবী কল্যাণ চক্রবর্তী জানান,ডালখোলা থেকে গাজল ভায়া রায়গঞ্জ ও ইটাহার নিয়ে যে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিলো রায়গঞ্জের ব্যবসায়ী অঞ্জন রায়ের তরফ থেকে সেখানে বলা হয়েছিলো দীর্ঘ দিন ধরে এই রেলপথের কাজ আটকে তবে এই রেলপথ হলে বালুরঘাট, রায়গঞ্জ সহ বিস্তৃর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষের সমস্যা অনেকটাই মিটবে।২০০৩ সালে এই প্রকল্প শুরু হলেও ২০১৮ সালে শেষবারের মত এই প্রকল্পের জন্য রেল টাকা বরাদ্দ করে।
এরপরই মঙ্গলবার মহামান্য হাইকোর্ট রেল ও রাজ্যের কাছে জানতে চান কেন এই রেলপথের কাজ আটকে, তার প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের আইনজীবী জানান, ১০০ একর জমি এই প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হলেও ১৭০ একর জমি এখনও অধিগ্রহণ করা বাকি আছে।এরপরই মহামান্য হাইকোর্ট, রাজ্য ও রেলকে হলফনামা দিয়ে ২ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলেন।
