News Britant

জল জলসংকট শহর ও গ্রামে

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#মালবাজার: এখন শীত কাল শুখার মরসুম। বৃষ্টির দেখা নেই গত দুই মাস। ডুয়ার্সের নদী ও ঝোড়া গুলিতে জলের প্রবাহ এখন ক্ষীণ থেকে ক্ষীনতর। পাশাপাশি ডুয়ার্সের চাবাগান গুলিতে কলমের কাজ হয়ে গেছে। এখন নিয়মিত প্রয়োজন সেচ ও সারের।হেক্টরের পর হেক্টর জমি সেচের জন্য দরকার বিপুল পরিমাণ জল। এই বিপুল পরিমাণ জলের উৎস বলতে মাটির নিচের ভূগর্ভস্থ জল নতুবা  চাবাগানের আশপাশ দিয়ে বয়ে প্রবাহমান নদী অথবা ঝোড়া।
মাটির নিচ থেকে জল সংগ্রহ করা তুলনা মুলক ভাবে ব্যয় সাপেক্ষ বলে ডুয়ার্সের বেশ কিছু চাবাগান নদী বা ঝোড়ার বুকে জেসিবি মেসিন দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে জল জমা করে। সেই জল পাম্পের সাহায্যে চা বাগানের আবাদি এলাকায় সেচ দেয়। নদীর উজানে চাবাগান গুলির এহেন কাজের জন্য নদীর নিচু এলাকায় গ্রাম ও শহরে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর ক্রমাগত নিচে নেমে যাচ্ছে।  কুয়োর জল শুখিয়ে যেতে শুরু করেছে। গ্রামীণ এলাকায় কৃষি কাজের জন্য জলে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
মালবাজার শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মাল নদী। এই নদীর উজানে কয়েকটি চাবাগান নদীর জল আটকে সেচের জন্য ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ। এরফলে মাঘ মাস পড়তেই  মালবাজার শহরের আদর্শ কলোনি, রামকৃষ্ণ কলোনি সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে কুয়োর জল তলানি এসে ঠেকেছে। অনেকেই জানিয়েছেন এখনই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ফাল্গুন, চৈত্র মাসে মারাত্মক সংকট হবে। ডামডিম থেকে ওদলাবাড়ি যেতে জাতীয় সরকের পাশে দেখা যাবে একাধিক ঝোরায় বাধ দিয়ে জল সেচ করছে চা বাগান।
এর জেরেই নিচে খাগরা বস্তি, পশ্চিম ডামডিম এলাকায় কুয়োর জল শুখিয়ে গেছে বলে জানাগেছে। গ্রামে কৃষিকাজ করা সমস্যা হচ্ছে। শুধু মাল ব্লক নয়, মেটেলি ব্লকের নেওরা নদী, নাগরাকাটা ব্লকের ডায়না, জলঢাকা নদীর জল এভাবেই সংগ্রহ করে চাবাগানে সেচ দেওয়া হয়। এভাবে জল সংগ্রহ করায় যথেষ্টই উদ্বিগ্ন ওদলাবাড়ির পরিবেশ কর্মী নফসর আলি। তিনি বলেন এভাবে জল সংগ্রহ শুধু অবৈঞ্জানিক নয়, বেআইনি। এরফলে নিচু এলাকায় জলের সংকট হচ্ছে।
পাশাপাশি বনাঞ্চলের বিভিন্ন যেসব প্রাকৃতিক ছোট বড় জলাধার রয়েছে সেগুলো শুখিয়ে যাচ্ছে। এতে বনাঞ্চলের পশু পাখিদের পানীয়জলে সমস্যা হবে। প্রশাসনকে বিষয়টি দেখা দরকার। গত বছরও এরকম সমস্যার উদ্ভব হওয়ায় আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়ে ছিলাম। এবারও চিঠি দেব। নদী ও ঝোড়া গুলির দেখার দায়িত্বে রয়েছে সেচ দপ্তর। সেই দপ্তরের বাস্তুকার এনিয়ে বলেন, এভাবে জল সংগ্রহ সম্পুর্ন বে- আইনি। আমাদের নজরে এলে নিষেধ করি। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে কোথায় এসব হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Comment