




#মালবাজার: ২০২৪ সালকে কে লক্ষ্য রেখেই ভারত সরকার সেবক থেকে রংপুর রেল যোগাযোগ কে স্থাপন করতে চলেছে। ২০২৪ সালের শুরুতেই উত্তর-পূর্ব ভারতের ছোট রাজ্য সিকিমের সাথে রেল যোগাযোগের সমস্ত কাজ শেষ করে রেল দপ্তরকে হস্তান্তরন করবে বলে জানিয়েছেন প্রজেক্ট ম্যানেজার শ্রী মুকুল জৈন।


প্রতিবছর বর্ষাকালে পাহাড়ে ধসের ফলে ক্রমাগত উত্তরবঙ্গের সাথে সিকিমের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিকিম রাজ্য স্তব্ধ হয়ে পড়ে এবং সেই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে স্থাপন করতে অন্যতম রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু করার লক্ষ্যে পাহাড় কেটে টানেল বানিয়ে রেল যোগাযোগের কাজ ইতিমধ্যেই অনেকটাই এগিয়ে চলেছে লক্ষ্যমাত্রা আগামী ২০২৪সাল।


ধসের ফলে বহু পর্যটকদের সড়ক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং পাশাপাশি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বহু দেহ তিস্তা নদীতে নিশ্চিহ্ন হয়ে হারিয়ে গেছে। এই রেল পথ উদ্বোধন হলে স্বাভাবিকভাবে উত্তরবঙ্গ সহ সিকিমের পর্যটন শিল্পে নতুন পালক গুজবে বলে পর্যটন শিল্পের ধারণা। মোট ৩৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পথ পাহাড়ের টার্নাল কেটে সেবক থেকে রংপুর পর্যন্ত মোট ১৪ টি টানাল কাজ দ্রুতগতিতে চলছে।

সোমবার ১১ নম্বর টার্নাল যার দৈর্ঘ্য ৩.২ কিলোমিটার এবং এই মুহূর্তে সবচেয়ে লম্বা টার্নাল বলেই রেলের আধিকারিকরা দাবি করছেন। এদিন এই লম্বা টার্নাল কে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করে ব্রেকথ্রু করলেন, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের, ডিআরএম দিলীপ কুমার সিং। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এ বি সি এল প্রজেক্ট ম্যানেজার শ্রী মুকুল জৈন এবং পাশাপাশি তার সহকর্মীরা সাক্ষী রইলেন ১১ নম্বর টার্নালের ব্রেকথ্রু অনুষ্ঠানের।

প্রথম পর্যায়ে এই রেলপথ সেবক থেকে রংপুর পর্যন্ত যাবে এবং পরবর্তীতে রংপুর থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপনের কথা রেলের আধিকারিকের মুখে শোনা গিয়েছে। এই রেলপথ হলে সিকিম রাজ্যের সাথে সহজেই রেল যোগাযোগের মধ্যে দিয়ে মানুষের অনেকটাই রেহাই হবে বলে জানিয়েছেন প্রজেক্ট ম্যানেজার।







