



#মালবাজার: শহরের জঞ্জাল সাফাই নিয়ে গতকাল মাল পৌরসভা এক বিঞ্জপ্তি জারি করে জানান দেয় যে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শহরকে জঞ্জাল মুক্ত করে পরিস্কার রাখতে পৌরসভা নতুন ব্যবস্থা চালু করতে চলছে। এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে পৌর বাসীর উপর নতুন করে কর ধার্য্য করেছে। বাড়ি পিছু মাসিক ৩০ টাকা, দোকান, শপিং মল, নার্সিহোম, সিনেমা হল, লজ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৫০, ২০০, ৫০০ টাকা করে মাসিক কর ধার্য্য করেছে মাল পৌর সভা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনিয়ে মাইকিং করে প্রচার করা হয়।


মাইকিং হতেই শহর নতুন এই কর নিয়ে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ এই পৌর করকে পৌরসভার উচিত সিদ্ধান্ত বলেছেন। আবার কেউ নতুন জারি করা এই সিদ্বান্তের সমালোচনা করেছেন। শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুব্রত বনিক। বিডিও অফিস কমপ্লেক্স তার মোবাইলের দোকান রয়েছে। তিনি জানান, ট্যাক্স যখন ধার্য্য হয়েছে তখন দিতে আপত্তি নাই। কিন্তু, পরিসেবা যেন ঠিক থাকে। শহরের ডেইলি মার্কেটে হোটেল চালান বাপী সাহা।


তিনি জানান, “আমাদের হোটেলে জঞ্জাল সেরকম জমা হয়না। আমরা নিজেরা পরিস্কার করি। এই মহুর্তে মাসিক অতিরিক্ত ২০০ টাকা দেওয়া কষ্টকর। শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চাঁদ মহহ্মদ। স্টেশন রোডে তার মনিহারি দ্রব্যের দোকান আছে।তার পরিস্কার কথা, বাড়তি কর কেন দেব? বাড়ির জন্য বছরে কর দেই, দোকানের জন্য কর দেই। আবার পৌর পরিসেবার জন্য আলাদা কর কেন?


সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য পার্থ দাস জানান, পৌরসভা তাদের পরিসেবা দেওয়ার জন্য খাজনা তো নেয়। জঞ্জাল সাফাই পৌর পরিসেবার অঙ্গ। আবার আলাদা খাজনা কেন? আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি।মানুষের রোজগার দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। তার উপর বাড়তি কর সমর্থন করা যায়না। বিজেপির টাউন মন্ডল সভাপতি নবীন সাহা বলেন, শহরের রাস্তা,পানীয়জল, পথবাতি ও জঞ্জাল সাফাই পৌর সভার দায়বদ্ধতা। এই পরিসেবা দিতে ব্যার্থ। শপথ গ্রহণের সময় বলেছিল যে ৬ মাসের মধ্যে ডাম্পিং গ্রাউন্ড করা হবে। তা হয়নি। একটি ব্যার্থ পৌরসভা এখন মানুষের উপর বাড়তি কর চাপাচ্ছে এটা সমর্থন যোগ্য নয়।

এভাবেই নানান প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে শহরে। তবে পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা বলেন, পৌরসভা প্রতিটি পরিসেবা সঠিক ভাবে দিয়ে থাকে। তার উপর বছরে বহু পর্যটক শহরে আসেন। এজন্য শহরকে পরিস্কার রাখতে হয়। নিয়মিত সাফাই করতে বাড়তি লোক ও সাফাই ই- রিক্সা ও গাড়ি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এজন্য প্রতিদিন খরচ বাড়ছে। এজন্য আমরা পৌর বাসীদের কাছ থেকে নুন্যতম একটা মাসিক একটা কর ধার্য্য করেছি। দেখা যাবে দিনে ১ থেকে ২টাকা হবে। এরফলে শহর আবর্জনা মুক্ত হবে।






