




#রায়গঞ্জঃ রায়গঞ্জ ব্লকের ১০ নম্বর মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত নতুন ৪ লেনের জাতীয় সড়কের ধার ঘেঁষে এক খাস জমিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এই কাজের টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। কাজ তৈরির বালি, পাথর ফেলে গর্ত খোঁড়া শুরু করতেই গ্রামবাসীরা শুরু করে বিক্ষোভ। উত্তাল হয়ে উঠল রায়গঞ্জের মাড়াইকুড়া মোড় এলাকা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই সরকারি খাস জমি তারা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন, এতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মত কাজ হলে তারা নিজেদের জমিতে যাতায়াত করতে পারবেন না।


পাশাপাশি, এই জায়গায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মত কর্মকাণ্ড হলে দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়বে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে স্থানীয় বাসিন্দাদের জনজীবন। স্থানীয় বাসিন্দা অনিমা রায় বলেন, আমাদের জমি গুলোতে চাষাবাদ বা তীব্র গরমে ওই ফাঁকা জায়গায় আমরা সময় কাটাই। তীব্র দাবদাহে ওই ৩০/৩২ ফুট চওড়া ও ৫০০ মিটার মত একফালি জমি জায়গায় আমরা আরাম করি। ওখানে একটি শিবমন্দির আছে, বট- পাকুড় গাছ, নানা ধরনের পুজো পার্বনে আমরা ওই জমি ব্যবহার করি।


কিন্তু আমাদেরকে কিছু না জানিয়ে ওই জমিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পঞ্চায়েত। আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের ৪ জনকে পুলিশ আটক করেছে। আমরা এর বিহিত চাই। স্থানীয় বাসিন্দা খেরখেরু রায় বলেন, কি যে হল, গ্রামের ৪ জনকে পুলিশ চুরির মামলায় আটক করে নিয়েছে। কিন্তু ওরা চোর নয়। জমিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র গড়ে তুলতে আমরা বাঁধা দিই নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলেও ক্যামেরার পেছনে তারা বলেন, আমরা ওই প্রকল্পের বিরোধিতা করিনি।


কিন্তু না জানিয়ে এমন সরকারি প্রকল্প চালু হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করেছি। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কমল দেবশর্মা বলেন, ওই সংসদের সদস্য সঞ্জয় দেব বর্মনকে এলাকা বাসীকে বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। উনি কাউকে কিছু না জানানোয়, এমন পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে বসেছিল। এদিকে গ্রামবাসীদেরকে অজ্ঞাত রাখার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় দেব বর্মন। তিনি আমাদের প্রতিনিধির কাছে ভূল স্বীকার করেন এবং পুলিশি মধ্যস্ততায় সব মিউচুয়াল হয়ে গেছে বলে দাবি করেন।







