





#রায়গঞ্জঃ ছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির সদস্য। বিগত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে বিশাল জনসভায় তুলে নেন ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা। এরপর টিকিট মেলে বিজেপির পক্ষ থেকে। তার হয়ে ভোটের প্রচারে আসেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বহু নেতা ও নেতৃত্ব।


কিন্তু বিধায়ক পদে জিতে অল্প কিছু দিন পরে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বর্তমানে রায়গঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী বিজেপির টিকিটে জিতলেও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচার, জনসভা করেন। মাঝে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেও মঙ্গলবার হঠাৎই বিজেপি ছাড়ার কারন বললেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ বাবু।


তিনি জানান তাঁর বিজেপি ছাড়ার পেছনে তৎকালীন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দায়ী। তিনি বলেন, আপনারা রায়গঞ্জের জনগন আমাকে বিশ্বাস করে বিধায়ক করেছিলেন। কিন্তু বিধায়ক হওয়ার পর বিজেপিতে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না।’ দিলীপ ঘোষকে নিশানা করে বলেন, ‘একদিন হেস্টিংসে বৈঠকে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল, নিজের স্পিড যদি ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার হয়, আর জেলার গতি যদি ৪০ হয়, সেক্ষেত্রে নিজেদেরকেও জেলার স্তরে নামাতে হবে।


অর্থাৎ দ্রুত গতিতে কাজ করা যাবে না। মানুষের কাজ করলেই ভোটে জেতা যায় না। আন্দোলন প্রয়োজন।’ এই কথায় ওই দলে থেকে রায়গঞ্জ বাসীর জন্য কাজ করতে পারতাম না। তাই ওই দল ছেড়ে দিই। এদিকে দল ছাড়ার জন্য দিলীপ ঘোষকে এমনভাবে দায়ী করায় পাল্টা দিয়েছেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার।

তিনি বলেন, বিজেপির টিকিটে জিতে দল ছেড়ে বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করেছেন উনি। আর দিলীপ ঘোষের মত রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমালোচনা করার মত যোগ্যতা কৃষ্ণ বাবুর নেই। ওই ধান্দাবাজ ব্যক্তি বিভিন্ন সময় বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন, যা ওর মুখে শোভা পায় না।





