





#মালবাজার: প্রয়াত হলেন মাল আদর্শ বিদ্যাভবনের প্রাক্তন ইংরেজি শিক্ষক প্রেমৎপল সেনাপতি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। সদা হাস্যময় প্রাক্তন এই শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়, কার্যত ছিলেন তিনি “বটবৃক্ষ”। সেই “বটবৃক্ষ” স্যারের ছায়ায় থাকতে অনেকেই নিজেকে সৌভাগ্যবান বলেই মনে করেন। আজ ভোররাতে সেই বটবৃক্ষের যবনিকা থেমে গেল নিজ ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসভবনে।


মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শহর জুড়েই কার্যত নিস্তব্ধতা। প্রাক্তনীদের দল ভিড় জমালেন তার বাসভবনে। সকলেরই মন আজ ভারাক্রান্ত। অনেককেই বলতে শোনা গেল যার ছত্রছায়ায় এতদিন বেড়ে ওঠা সেই তিনিই যে আজ নেই। ইংরেজি বিষয়ের গ্রামারটা ছিল তার কাছে অত্যন্ত প্রিয়। তিনি মনে করতেন ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়াতে গেলে গ্রামারটা রপ্ত করা অত্যন্ত জরুরী। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় জন্ম প্রেমৎপল বাবুর।


একাধিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজ করেছেন। এদিন সকালে তার মরদেহ নিজ বাসভবন থেকে তার কর্মস্থল তথা মাল আদর্শ বিদ্যাভবনের আঙিনায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক সুশান্ত দত্ত, উৎপল পাল এবং বর্তমান শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী সহ অগণিত ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তনীদের একাংশও।সুশান্ত দত্ত বলেন, উনি আমার থেকে ৩০ বছরের বড় হলেও বন্ধুর মিসতেন।


সকলে মিলে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে তাদের প্রিয় বটবৃক্ষ স্যারকে শেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। তার প্রাক্তন ছাত্র মাল পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা বলেন, ওনার কাছেই আমাদের ইংরেজি শেখা। ওনার কাছে যা শিখেছি তা অনুপ্রেরণা দেয়। এরপরই মাল নদীর শ্মশান ঘাটে সেনাপতি বাবুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই বৈদ্যুতিক চুল্লিতে তার দাহ কাজ সম্পন্ন হয়। উপস্থিত ছিলেন তার পরিবার পরিজন সহ অগণিত ছাত্র সহ অন্যান্যরা। মৃত্যু কালে তিনি রেখে গেছেন দুই পুত্র ও এক কন্যা।






