





#মালবাজার: মাল বাজার শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেশন রোডের এক গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো শহরে। মালবাজার থানা সূত্রে জানা গেছে, মৃতার নাম কমলা রানী শা (৩১)। তার বাবার বাড়ি আলিপুরদুয়ার জেলার হ্যামিলটনগঞ্জে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সামাজিকভাবে মেয়েটির মালবাজার শহরের স্টেশন রোডে এক যুবকের সাথে বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।


মৃতার বাবার বাড়ির লোকজন এসে মালবাজার থানা এবং হাসপাতালে জড়ো হন। মৃতদেহের ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের এনকুউস্ট হয়েছে বলেই জানা গেছে। এদিকে নিজের মেয়েকে হারিয়ে কার্যত বাকরুদ্ধ মেয়ের মা ও বাবা। পরিবারের তরফে মালবাজার থানায় মেয়েটির স্বামী বিজয় কুমার শা সহ পরিবারের সাতজনের নামে শারীরিক অত্যাচার ও গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।


শনিবার সকালে মালবাজার থানায় দাঁড়িয়ে মেয়েটির ভাই রাহুল শা বলেন, “দিদির স্বামী ও শাশুড়ি সহ পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে অর্থের দাবিতে শাররিক ভাবে নিগ্রহ করত। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খবর পাই দিদি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপরই আমরা দিদির মৃত্যুর খবর পাই। দিদির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি আমরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই”।


মেয়েটির এক প্রতিবেশী কাকা দিব্যেন্দু ঘোষ বলেন, “মেয়েটিকে পরিকল্পনা করে তার স্বামী ও শশুড়বাড়ির সমস্যরা মিলে হত্যা করেছেন। আমরা দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি রাখছি”। মাল থানা সূত্রে জানা গেছে, “মেয়েটির পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে”।

শুক্রবার বিকেলে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না তদন্তের পরই হ্যামিলটনগঞ্জে বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই মেয়েটির সৎকাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে পরিবারের তরফে জানা গেছে। শুক্রবার এবং শনিবার অভিযুক্ত বিজয় কুমার শার বাড়িতে গেলে দেখা গেল বাড়ি তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। পরিবারের সকল সদস্যই বাড়ি ছাড়া। প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলতে গেলেও বিষয়টি সম্পর্কে তাদের তরফে তেমন কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মূল অভিযুক্ত বিজয় বাবুর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও, “তিনি কোন কিছুই বলতে চাননি”। আর গৃহবধুর এই ধরনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে স্তম্ভিত শহরবাসীও।





