





#চন্দ্র নারায়ণ সাহা, রায়গঞ্জঃ সোনার কাঠির প্রথম পর্বে যেমন সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল রায়গঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আন্তরিক। শনিবার রাতে তাদের সোনার কাঠির দ্বিতীয় পর্বে আবারও জীবন্ত করে তুলল দক্ষিণ সোহারই গ্রামের পিছিয়ে পড়া আদিবাসী শিশুদের। তাদের নৃত্য, গানে মেতে উঠল রায়গঞ্জ ইনিস্টিউটের মঞ্চ।


তুমুল করতালিতে ফুটফুটে শিশুরা যখন মঞ্চ ছেড়ে নিচে নামছিলেন তখন তাদের জড়িয়ে ধরে আন্তরিকতা দেখালো সৈকত, মাম্পির মত স্বেচ্ছাসেবকেরা। এছাড়াও এদিন দুর্গাপুর হাটখোলা থেকে এসে নৃত্য প্রদর্শন করেছে একদল শিশুরা। শনিবার রাতে ধীরে ধীরে জমে উঠেছে আনন্দ অনুষ্ঠান। তখন একে একে নাচ, গান, কবিতা-র দল এসেছে মঞ্চে।


তাথই, নৃত্যম নৃত্যকেন্দ্র, নৃত্যাঞ্জলী, সুরলহড়ী, সুরলহড়ী-র মাইম, হৃদয়বানী, নৃত্যালয় পরিবেশন করে নৃত্য। ছোট ছোট শিশুদের গান নাচে মুখর হয়ে ওঠে রায়গঞ্জ ইনস্টিটিউট মঞ্চ। এর মাঝেই রায়গঞ্জের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী দল সহ মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী দলকে “সহযোদ্ধা” সম্মাননা দেওয়া হয়। আন্তরিক এর হাতে তুলে দেওয়া “টেডি পুতুল” গুলি তুলে দেওয়া হয় তিনজন আদিবাসী শিশুর হাতে।


প্রায় হারিয়ে যেতে বসা মূকাভিনয় কলার প্রদর্শন করে তাক লাগিয়ে দেয় ব্ল্যাক স্টোনস হার্ট, মঞ্চে যখন অসাধারণ মাটির গান, কবিগুরুর গান ও আধুনিক কিছু গান পরিবেশন করছেন রায়গঞ্জ রকার্স তখন স্বেচ্ছাসেবকদের দেহে ক্লান্তির ছাপ থাকলেও মুখে ফুটে উঠেছিল সারাবছর ধরে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আনন্দ। সংস্থার সম্পাদক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, এদিনের অনুষ্ঠানে রায়গঞ্জ অঞ্চলের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোকে ‘সহযোদ্ধা’ সন্মানেও সম্মানিত করা হয়।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি, সুদর্শন পুর দ্বারিকা প্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্রের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুশীল গোস্বামী, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীপক বর্মন, ইটাহার কলেজের অধ্যাপক সুকুমার বাড়ই সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি।





