News Britant

সীমান্ত গ্রামে  ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, এগিয়ে এলেন বিএসএফ কর্মীদের স্ত্রীরা

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#চন্দ্র নারায়ণ সাহা, রায়গঞ্জঃ দেশের সীমান্ত পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি সীমান্ত গ্রামবাসীদের সামাজিক কাজেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী। এক্ষেত্রে পুরুষ সদস্যদের পাশাপাশি বাওয়ার সদস্য বাহিনী কর্মীদের স্ত্রীরাও সামাজিক দায়িত্ব পালনে প্রধান ভূমিকা পালন করে। সোমবার দুপুরে, উত্তর দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন ৭২ নং ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে  সীমান্ত গ্রাম সোনাগাঁয়ে গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়।
ফিতা কেটে এই শিবিরের উদ্বোধন করেন রায়গঞ্জ ব্লক সভাপতি ছিতা টুডু। বিএসএফের ডেপুটি কমান্ডেন্ট পি এল মিনা বলেন, এদিনের এই শিবিরে সীমান্ত সংলগ্ন সোনাগাঁও, পারিয়াল, বাহোর, ধলগাঁও, ভাগিলতা, মহিপুর, প্রতাপপুর, বিন্দোল, মালদাখন্ডসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪০০ রোগী তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং বিনামূল্যে ওষুধের সুবিধা গ্রহণ করেন।
শিবিরে হেমতাবাদ পিএইচসি-এর ডাঃ রাহুল বিশ্বাস, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের চিফ মেডিকেল অফিসার (এসজি) ডাঃ অভিজিৎ মুখার্জি, ডাঃ নরেশ কুমার,  ডাঃ সঙ্গীতা সিং রোগীদের পরীক্ষা করেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। পাশাপাশি, বাওয়া সদস্যরা স্থানীয় স্কুলের শিশু ও গ্রামীণ নারীদের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি মাদকের কুফল সম্পর্কে জানান এবং এ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন।
এই উপলক্ষে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাহসী নারীদের স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে সোলার লাইটও বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান চলাকালীন, বাওয়া সদস্যরা ছাড়াও, কর্পস কমান্ড্যান্ট শৈলেশ কুমার সিনহা, ডেপুটি কমান্ড্যান্ট পিএল মীনা, সহকারী কমান্ড্যান্ট মহাবীর প্রসাদ স্বামী, বাহিনীর অধীনস্থ অফিসার এবং জওয়ানরা উপস্থিত ছিলেন। সাথে ছিলেন আল্পনা বর্মণ,  সুমিত্রা বর্মণ,   সুশান্ত বৈষ্ণব, ভাগিলতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌমিত্র মোদক, সোনগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল বারিক, সোনগাঁওয়ের সদস্য জেসমিন খাতুন, পারিয়াল সদস্য অমিত সরকার, বহরগাঁও সদস্য আলহাজ আলী সদস্য নমিতা বর্মণ, ভাগিলতা সদস্য অমলা সিংহ, মহিপুর সদস্য অরুণ, প্রতাপপুর সদস্য নমিতা বর্মণ ও মালদাখণ্ড সদস্য গোলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই উপলক্ষ্যে ৭২তম কোরের কমান্ড্যান্ট শৈলেশ কুমার সিনহা গ্রামবাসীদের উদ্দেশে বলেন, এই ধরনের ক্যাম্প ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং ৭২তম কোর সর্বদা আপনাকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকবে। এছাড়াও সীমান্ত গ্রামবাসীর সাথে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ের প্রশংসা করে বলেন, অন্যের সেবা করা এবং কোনো অহংবোধ না থাকাই প্রকৃত শিক্ষা ও ধর্ম।

Leave a Comment