




#নিউজ বৃত্তান্তঃ তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা বলেন ঢাকা নাকি তার বাড়ি ঘর। বাংলাদেশে এর আগেও এসেছেন একাধিক বার। কিন্তু করোনা হানার পর এই প্রথম বার বাংলাদেশ সফর করলেন গ্রীণম্যান তুহিন শুভ্র মন্ডল। ভারতবর্ষের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাটের তুহিনের এই সফর বিশেষ উদ্দেশ্যে। নদী, প্রকৃতি ও নাটক শিক্ষার মাধ্যমে ভারত – বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নীতকরণের তার ধারাবাহিক প্রচেষ্টারই আরেকটি উদ্যোগ এই সফর।


প্রথমে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নদীকর্মী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদের সঙ্গে নদী ও প্রকৃতি বিষয়ক কথোপকথন। তারপর তাকে সবুজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, বিভিন্ন প্রজাতি সম্বলিত বৃক্ষ সম্ভার ঘুরিয়ে দেখান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ। কথা হয় তিস্তা, আত্রেয়ী ও দুই বাংলার বিভিন্ন অভিন্ন নদী নিয়েও। তিনি পরিবেশ চিন্তক তুহিন শুভ্র মন্ডলের হাতে তার লেখা ‘রংপুর অঞ্চলের নদ – নদী’ শীর্ষক বইও তুলে দেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।


তারপর সন্ধ্যায় রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্ত্বরে বিভিন্ন নাট্যদলের প্রতিনিধি দের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বিষয় ছিল নাটক শিক্ষার মাধ্যমে ভারত – বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়। রংপুর নাট্য কেন্দ্র, সারথী, বিকন সহ বিভিন্ন নাট্যদলের নাট্যবন্ধুরা ছিলেন। অন্যান্য নাট্যব্যক্তিত্ব দের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নাট্য নির্দেশক – নাট্য সংগঠক রজ্জাক মুরাদ। আলোচনায় পরিবেশ নাটক ও সবুজ নাটক শিক্ষার কথাও উঠে আসে। জানা গেছে, দ্বিতীয় দিন পাবনাতে বাংলাদেশের ইছামতি নদী আন্দোলনের সংগঠক ড. মনসুর আলমের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে একুশে পাবনা বইমেলাতে বক্তৃতা রাখেন তিনি।


সেখানে তিনি বলেন নদী, পরিবেশ, বই পড়ার গুরুত্ব ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন নিয়ে। পরদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নদী বিষয়ক বক্তব্যে গ্রীণম্যান তুহিন শুভ্র মন্ডল তুলে ধরেন আন্ত: সীমানা নদীসমূহের কথা। বলেন সীমান্তের উর্ধ্বে উঠে দুই দেশের মানুষকে এগিয়ে এসে নদীকে ভালবাসার কথা বলতে হবে। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট নদী গবেষক ও লেখক মাহাবুব সিদ্দিকী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. সাবরিনা নাজ।

পরিবেশ বিদ ও নাট্যকর্মী তুহিন শুভ্র মন্ডল বলেন ‘কোভিড অনেক ক্ষেত্রেই বিলম্বিত করেছে আমাদের ভারত- বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নীতকরণের প্রচেষ্টা। আবার এই প্রক্রিয়া শুরু করলাম। এরপর বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধি দল ভারতে আসবেন। একটা ইতিবাচক ফল আশা করছি। ‘





