News Britant

নদীর তীরে ন্যাফের উদ্যোগে দৃষ্টিহীনদের নিয়ে ২১তম প্রকৃতিপাঠ শিবির

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#মালবাজার: ওদের নাম জোৎস্না বরুয়া, বীনা রায়, অর্জুন সরকার, সনু ওঁরাও, রাজা খাওয়াস। ওদের কারো বাড়ি মালবাজার শহরে, কারও বাড়ি নাগরাকাটা ব্লকের গাঠিয়া চাবাগানে, কারও বাড়ি বড়দীঘি বস্তিতে, আবার কারও বাড়ি মাদারিহাট ব্লকের তাসাটি চা বাগানে। ওরা ডুয়ার্স ও তরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায়। বিভিন্ন জায়গার হলেও ওদের একটাই মিল এই পৃথিবীর রূপ, রং সৌন্দর্য ওরা প্রত্যক্ষ করতে পারেনা। এই পৃথিবীর আলো ওদের কাছে অন্ধকার।
এই রকম প্রায় শত খানেক ছেলেমেয়েদের গাছ, পাখি, হাতি ও প্রকৃতির উপাদান চেনাতে ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের মুর্তি নদীর ধারে শুরু হয়েছে ৪ দিনের প্রকৃতি পাঠ শিবির। শুক্রবার দুপুর ১২টায় উত্তরবঙ্গের প্রাচীন পরিবেশ প্রেমী সংস্থা হিমালয়ান ন্যাচার এন্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও লাটাগুড়ি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, গরুমারা ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশন, গয়েরকাটা আরন্যক পরিবেশ প্রেমী সংস্থার সহযোগিতায় শুরু হওয়া এই প্রকৃতি পাঠ শিবিরের উদ্বোধন করেন পদ্মশ্রী করিমুল হক।
উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ কর্মী রাম সুরত মাঝি সহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিজনেরা। ন্যাফের কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, এই ক্যাম্পে যে ক্যাম্পারসরা এসেছে ওরা হয়তো পৃথিবীর রূপ, রং দেখতে পায় না। কিন্তু, যথেষ্ট সংবেদনশীল। ওদের হাতে ধরে গাছ, পাতা, ফুল চেনানো। ধুপঝোড়ায় নিয়ে গিয়ে হাতিকে ছুঁয়ে তাকে চেনানো। নদী পার করা সহ নানান বিষয় শেখানো হবে। পাশাপাশি সন্ধ্যায় গান, বাজনা করার মধ্যে দিয়ে ওদের চেতনা বাড়ানো হবে”।
শিবিরে আসতে পেরে দারুণ খুশি জোৎস্না বরুয়া, বীনা রায় ও অর্জুন সরকার। খালি গলায় গান গেয়ে শুনিয়ে দিয়ে বলল, আমাদের খুব ভালো লাগে। গত কয়েক বছর ধরে শিবিরে আসি। অপর দিকে রাজা খাওয়াস ও রাজীব লোহার জানান, আমরা এবছর প্রথম এসেছি। ভালো লাগছে। উজ্জ্বল আলোয় ওদের মুখ হাসিতে ভরপুর।

Leave a Comment