



#রায়গঞ্জঃ রায়গঞ্জের গৃহবধূ ফুলতা বর্মনের রহস্যজনক মৃত্যুতে মৃতার স্বামী সমিত বিশ্বাস ওরফে সান্টুর বিরুদ্ধে উঠল খুনের অভিযোগ। বুধবার সকালের এই ঘটনায় মৃতার স্বামী সমিত বিশ্বাসকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। জানা গেছে, প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়ে করে সমিত বিশ্বাস ওরফে সান্টু। সে তার স্ত্রীকে নিয়ে বাস করত রায়গঞ্জ মিলনপাড়ার এক ভাড়া বাড়িতে।
প্রতিবেশীদের দাবি, প্রতিদিনই ঝগড়া, মারামারি হত ওই দম্পতির মধ্যে। মঙ্গলবার রাতেও দুজনের মধ্যে বাঁধে ঝগড়া। তারপরই এভাবে রহস্যজনক মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রায়গঞ্জ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপাড়া এলাকায়। প্রতিবেশীদের দাবি উড়িয়ে সমিতের দাবি, গতকাল রাতে ঝগড়া হয়েছিল ঠিকই, তারপর গভীর রাতে আমার স্ত্রী গলায় দড়ি দেয়।
এমন ঘটনা দেখে তড়িঘড়ি ঝুলন্ত শরীরটাকে নিচে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন প্রতিবেশীরা থানা খুনের অভিযোগ জানিয়েছে। প্রতিবেশীদের দাবি, মঙ্গলবার রাতে ওই দম্পতির গন্ডগোল চরম আকার ধারন করে। সেই ঝামেলার পরে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে স্ত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহটি লোপাট করার চেষ্টা করেছিল স্বামী সুমিত বিশ্বাস বলে অভিযোগ।
তারা জানান, ভাড়াবাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে তারই নির্মীয়মান বাড়ির সামনে নিয়ে আসে সুমিত। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। প্রতিবেশী খোকন দাস বলেন, নতুন বাড়িতে এখনও রক্ত পড়ে রয়েছে। গতকাল রাতে সমিত বিশ্বাস নিশ্চয়ই খুন করেছে। এমন ঘটনায় হতবাক বাড়ির মালিক হেনা দাসও। তিনি বলেন, আমি ওদের পাশের ঘরে ঘুমোই। গতকাল ঝগড়াঝাটি হয়েছিল। কিন্তু তারপর ফাঁসি দিলেও আমাদের কিছু জানায়নি ওই সমিত বিশ্বাস।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর পুস্পা মজুমদার। তিনি জানান, গতকাল রাতে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে, যা যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি করেছে। পুলিশ এসে পৌছেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতার দেহ নিয়ে গেছে। আটক করা হয়েছে ওই অভিযুক্ত সমিত বিশ্বাসকে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
