





#মালবাজার: পর্যটকদের জন্য পাহাড়ের কোলে পথ চলা শুরু হলো এক সুন্দর হোমস্টে। গরুবাথান কালিম্পং জেলার অন্যতম ব্লক সদর শহর। পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে গেছে পাহাড়ি চেল নদী। পূর্বে পাহাড়ের উপর রয়েছে গরুবাথান টার ও পিকিনিক স্পট। গরুবাথান ব্লকে রয়েছে লাভা, লোলেগাও, ঝান্ডি, সুন্তালে, ডালিমটার সহ একাধিক পর্যটন কেন্দ্র।


প্রায় প্রতিদিন নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা গাড়ি বোঝাই করে গরুবাথানের উপর দিয়ে এই সব পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসে। গরুবাথান সদর শহরকে কেন্দ্র করে পর্যটনকেন্দ্র, পিকনিক স্পট গড়ে উঠলেও গরুবাথান বাজারে ছিলনা কোন হোমস্টে ও পর্যটকদের আহারের ভালো হোটেল।


সেই চাহিদা মেটাতে স্থানীয় এক মহিলা পুনম রাই গরুবাথান বাজারে একটি হোমস্টে ও ফুড জংশন চালু করার উদ্যোগ নেন। শুক্রবার সেই হোমস্টে ও ফুড জংশনের পথ চলা শুরু হলো। এদিন এই হোমস্টে ও ফুড জংশনের সুচনা করেন ডুয়ার্সের বিশিষ্ট পশুপ্রেমী বিশ্বজিৎ সাহা। উপস্থিত ছিলেন কুমাই ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সভাপতি বিজয় থাপা, দার্জিলিং রিমবিক ফ্রেস ফাউন্ডারের পক্ষে মিগমা গিরমি শেরপা, সমাজকর্মী শ্যাম থাপা, পর্যটন ব্যবসায়ী দেওপ্রকাশ রাই প্রমুখ।


৬ রুম বিশিষ্ট ছিমছাম ঘর রয়েছে। এরসাথে আছে দেশী ও চাইনিজ খাওয়ারের ব্যবস্থা। চাইলে পাবেন নেপালী ট্রেডিশনাল খাদ্য। খরচ নাগালের মধ্যে। উদ্যোক্তা পুনম রাই বলেন, গরুবাথানের আশপাশের এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র থাকলেও এখানে থাকার ব্যবস্থা ছিল না। গরুবাথান বাজারকে পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরতে এই নিয়েছি।

উদ্বোধন করে বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, এক এক করে যত বেশি এরকম হোমস্টে গড়ে উঠবে তত পর্যটনের বিকাশ হবে। পর্যটক আসবে ও কর্ম সংস্থান বাড়বে।কয়েকজন মহিলা মিলে যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষেরা।






