



#রায়গঞ্জ: নাগরিক সচেতন হলে কোনো অন্যায় প্রশ্রয় পায় না। তারই হাতেনাতে প্রমান মিললো রায়গঞ্জে। বন্যপ্রাণী আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রায়গঞ্জের বন্দর এলাকায় বীরভূম থেকে আগত এক ব্যক্তি বানর খেলা দেখাচ্ছিল। কিন্তু বাদ সাধল রায়গঞ্জের সচেতন নাগরিকগণ। তারা জানে যে বন্যপ্রাণীদের নিয়ে খেলা দেখানো একেবারেই নিষিদ্ধ। বহু বছর ধরে তারা কোনো মাদারি বা সাপুরেকে রায়গঞ্জে দেখেনি।
তাই সাধারণ মানুষই খবর দেন বন দপ্তর এবং পশু প্রেমী সংগঠন উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিম্যালস এর অফিসে। খবর পেয়ে বন দপ্তর এর রাজন শর্মা, মুকুট মজুমদার, বিট অফিসার অনিল চন্দ্র সাহা ও পশুপ্রেমী সংস্থার সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া, নিবারণ দেবনাথ, রূমিত দেবশর্মা ও সুমিতা দাস রায়গঞ্জ বন্দর এর ইসকন মন্দির সংলগ্ন এলাকায় হানা দিয়ে বানরটিকে উদ্ধার করে।
উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিম্যালস এর অ্যাম্বুলেন্স করে সেই বানরটিকে কর্ণজোরার ডিভিশনাল অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তার সাথে মাদারি সাবিক কলান্দরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছে হরিণের শিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন বন্য প্রাণীর চামড়াও পাওয়া গিয়েছে। সহকারী বিভাগীয় বনাধিকারিক সৌগত মুখার্জি এবং রায়গঞ্জের রেঞ্জার প্রদীপ কর চৌধুরী মহাশয় সেগুলো পরীক্ষা করে দেখেন।
বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন, ১৯৭২ অনুযায়ী সাবিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বীরভূম থেকে আগত সাবিক স্বীকার করেছে যে আগে সে একটি ভাল্লুক নিয়ে খেলা দেখাত, কিন্তু ২০০৭ সালে বন দপ্তর তার কাছ থেকে সেই ভল্লুকটি নিয়ে নেয়। তারপর থেকে সে পশ্চিম বঙ্গ ও বিহারের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বানর খেলা এবং ম্যাজিক দেখাচ্ছে। বন্য প্রাণী আইন খুব ভালো ভাবে জানা সত্বেও সে বেআইনিভাবে এই কাজ করে যাচ্ছে রুজি রুটির তাগিদে। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সাবিক কলন্দর কে আদালতে পেশ করা হয়েছে।
