



#দেবলীনা ব্যানার্জী, রায়গঞ্জ: আঞ্চলিক ভাষাগুলিকে স্বীকৃতিদানের ও পঠনপাঠনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি দীর্ঘদিনের। সেই দাবিকে স্বীকৃতি দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আঞ্চলিক বিভিন্ন ভাষাকে। এরকমই এক উদ্যোগ দেখা গেল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার দুপুরে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের কক্ষে উদ্বোধন হল রাজবংশী ভাষার সার্টিফিকেট কোর্স।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ফোকলোর স্টাডিজ এর ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক জ্যোৎস্না কুমার মন্ডল। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক দুর্লভ সরকার, কলা বাণিজ্য আইন অনুষদ বিভাগের অধ্যক্ষ তাপস মহন্ত, সায়েন্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট অনুষদ বিভাগের অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র জানা, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিলন কুমার রায়, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক ডক্টর শুভময় ভৌমিক।
স্বাগত ভাষণ দিয়েছেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তথা রাজবংশী ভাষার সার্টিফিকেট কোর্স এর কো অর্ডিনেটর অধ্যাপক দীপক কুমার রায় ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তথা রাজবংশী ভাষার সার্টিফিকেট কোর্সের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর দীপক বর্মন। এছাড়াও উপস্থিতি ছিল প্রচুর সংখ্যক ছাত্র ছাত্রীর। একে একে মঞ্চে উপস্থিত অতিথিদের বরণ পর্ব সেরে সমবেত উদ্বোধনী সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রাথমিক পর্ব সম্পন্ন হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট অতিথি বৃন্দ।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের এই সার্টিফিকেট কোর্সটিতে নির্দিষ্ট সিলেবাস থাকবে। ইতিমধ্যেই এই কোর্সে ৮০ জন্য ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। মূলত শনি ও রবিবার চারটে করে ক্লাস হবে এই কোর্সটিতে। স্থানীয় শিক্ষকদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত বিশেষজ্ঞরা স্পেশাল ক্লাস নেবেন এখানে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও রাজবংশী ভাষার সার্টিফিকেট কোর্সের কো অর্ডিনেটর দীপক কুমার রায় জানান, “উত্তর দিনাজপুরে বেশ কিছু বিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে রাজবংশী ভাষায় পঠন পাঠন শুরু হয়েছে।
এই সার্টিফিকেট কোর্সটি এই অঞ্চলের রাজবংশী স্কুলগুলির পঠনপাঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে যদি কেউ এই ভাষা নিয়ে গবেষণা করতে চান, সেক্ষেত্রেও এই কোর্সটির ভূমিকা থাকবে। ২১৬ জন এই কোর্সের জন্য আবেদন করেছিলেন, তাদের অ্যাকাডেমিক ও মৌখিক পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে ৮০ জনকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে।”
