



#রায়গঞ্জ: রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে রায়গঞ্জ রেলস্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখালো কংগ্রেস। এদিন রায়গঞ্জ রেল স্টেশনে প্রায় আধ ঘন্টার বেশি সময় ধরে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। রায়গঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক তথা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়।
রায়গঞ্জ স্টেশনে রাধিকাপুর-তেলতা প্যাসেঞ্জার ট্রেন আটকে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়।এদিন ট্রেন আটকানোয় যাত্রীদের কিছুটা হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়। এ বিষয়ে রায়গঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, মোদি সরকার অন্যায়ভাবে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একজন নির্বাচিত সাংসদের সদস্যপদ খারিজ করেছে।
তার বিরুদ্ধে আমরা কাল থেকেই প্রতিবাদে নেমেছি। আজ জেলার চার জায়গায় রায়গঞ্জ, ডালখোলা, কানকি ও ইসলামপুরে রেল রোকো কর্মসূচি চলছে মোদি সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের প্রতিবাদে। লোকসভায় রাহুল গান্ধী আদানির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে তার মাইক বন্ধ করে দিয়েছিলেন স্পিকার। রাহুল গান্ধীর মুখ বন্ধ করার জন্যই তাঁর সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের কাছে গিয়েছেন, তাঁর মুখ বন্ধ রাখা যাবে না।
ভারতবর্ষ একটি বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। সেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। রেল আটকে থাকায় সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু মানুষ জানে কংগ্রেস তাদের জন্যই লড়াই করছে। তাই সাধারণ মানুষ আমাদের পাশেই রয়েছেন। আমরা খুশি সমস্ত বিরোধী দলও আজ রাহুল গান্ধীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। ২০২৪ এ রাহুল গান্ধীই সাধারণ মানুষের রায়ে প্রধানমন্ত্রী হবে বলে এদিন মন্তব্য করেন মোহিতবাবু।
