#মালবাজার: “দলের ব্লক সভাপতি শয্যাসঙ্গিনী করতে চেয়ে একাধিক বার কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। তার প্রস্তাবে সন্মত না হওয়ায় নানা ভাবে হেনেস্তা করছেন”। চাঞ্চল্যকর এমন অভিযোগ এনে মাল থানায় লিখিত এজাহার করলেন মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জেতা রীনা বরা। শনিবার বিকালে মাল থানায় এসে অভিযোগ জানান রীনা বরা। আইসি সুজিত লামা না থাকায় টাউন দারোগা পরিমল বৈদ্যের তত্বাবধানে এজাহার গ্রহণ করা হয়।
পরে রীনা দেবী থানার থেকে বেরিয়ে এসে বলেন, “আমি গত সেপ্টেম্বর মাসে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ গ্রহণ করি। তারপর ব্লক সভাপতি সুশীল কুমার প্রসাদ আমাকে বলেন যে তোমাকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি করা হলো এখন বাইরে বিভিন্ন পার্টিতে যেতে হবে। এসব বলে নানান সময় কুপ্রস্তাব দেন। আমি তাকে বলি যে আমার ব্যাক্তি গত জীবন আছে।
এরকম জানলে আমি সভাপতি হতাম না। এর পর থেকে আমাকে নানা ভাবে হেনেস্তা করা হচ্ছে। আমি একজন আশাকর্মী। গত অক্টোবর মাস থেকে আমার বেতন বন্ধ রয়েছে। আবার সভাপতির সন্মানিক ঠিকমতো পাচ্ছি না। আমাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নানান হেনেস্থায় আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি। এই পরিস্থিতিতে আমি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে থাকতে চাই না। তবে দলের একজন কর্মী ও সৈনিক হিসাবে কাজ করে যাব”।
এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ জানান, আমাদের নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এখনো আমাদের জেলায় আছেন। তার কর্মসূচিতে আমি রাজগঞ্জে আছি। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বেরিয়ে গেলেই দ্রুত এনিয়ে দলীয় স্তরে বসে আলোচনা করে সমস্যা মেটানো হবে।
যার বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ সেই তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সুশীল কুমার প্রসাদ বলেন, “উনি নয় মাস আগে সভাপতি হয়েছেন। এতদিন বাদে কেন অভিযোগ করছেন? গতকাল অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আমাদের দলের প্রার্থী চয়নের জন্য যে ভোট হয়। সেখানে ডামডিম এলাকা থেকে প্রার্থী হিসাবে যোগ বলে তার নাম ছিল না।নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তাছাড়া উনি ওনার এলাকায় ঘর দেওয়ার জন্য ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। যা হোক উনি যখন অভিযোগ করেছেন তখন পুলিশ ডাকলে যাব। আইনানুগ ভাবে ব্যবস্থা নেব”।
