





#ইসলামপুর: ইসলামপুরের মহকুমায় চোপড়া দিয়ে শুরু হলো উত্তর দিনাজপুর জেলার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রা। রবিবার নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে চোপড়ার দীঘাবানা ময়দানে উপস্থিত হন বাংলার যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় হাজার হাজার মানুষের জনজোয়ার যেন আছড়ে পড়ে তার সভাতে।


সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করেই তিনি মা মাটি সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং দুয়ারে সরকারের সাফল্যকে উল্লেখ করে একাধিক সরকারি প্রকল্পে কত মানুষ উপকৃত হয়েছেন সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। পাশাপাশি এটা জানান তিনি যে, যেই এলাকায় তাদের পঞ্চায়েত দখলে নেই সেই এলাকাতেও ধারাবাহিকভাবে সরকারি সমস্ত প্রকল্পের পরিষেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কোন এলাকাই তাদের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থাকছে না।


অথচ এমনটা হলে বিজেপি ওই সমস্ত এলাকায় যেখানে তারা জিততে পারেনি সেখানে পরিষেবা বন্ধ করে দিতেন। এদিন সকাল থেকেই ইসলামপুর কোর্ট ময়দান চত্বরে যেখানে অভিষেকের জনসভা সেখানে প্রস্তুতি ছিল বেশ জোরদার। কিন্তু শহরের অন্য প্রান্তে যেখানে বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়ি সেখানেও জনজোয়ার। তাদের বক্তব্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের সেখানে আসার কথা। তাই তারা সেখানে প্রতীক্ষা করছেন।

তাদের নেতা আব্দুল করিম চৌধুরী যতক্ষণ বলবেন না কোর্ট ময়দানে অভিষেকের সভাতে যাবার ব্যাপারে তারা সেখানে যাবেন না। যদিও পরবর্তীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর আব্দুল করিমের বাড়িতে যাননি। এ নিয়ে রীতিমতন হতাশ বিধায়ক শিবির। তিনি বলেন, নব জোয়ারের কর্মসূচি নিয়ে তার কাছে কোন তথ্য ছিল না। কেউ কাউকে জানাননি। এমনকি ওই সভাতে যোগ দেওয়ার কথাও তাকে বলা হয়নি। এ নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে তার। পুলিশের মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্ভবত তার বাড়িতে আসতে পারেন। তার সঙ্গে দেখা করার জন্য। কিন্তু সমস্ত তথ্য ভুল প্রমাণিত হলো।

অন্য দিকে এদিন ইসলামপুরে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রগতিশীল এবং আরও শক্তিশালী পঞ্চায়েত গঠনের লক্ষ্যে এই নবজোয়ার যাত্রা। যাতে দিল্লির কাছে কোনভাবে মাথা নত করতে না হয় তার জন্যই মাথা উঁচু করে কাজ করবে এমন লোককে বাছাই করা হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করবার জন্য। হিন্দু সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে এক হাত নেন এবং কেন্দ্রীয় সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন তিনি।






