



#মালবাজার: তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও ব্লক সভাপতির মতানৈক্যে ধর্না ও পালটা ধর্নায় মালবাজার শহরের থানার চত্বর রাজনৈতিক তরজায় জমে উঠলো শুক্রবার বুদ্ধ পুর্নিমার পবিত্র দিনে মাল থানার সামনে সুবিচার চেয়ে সদলবলে ধর্নায় বসেন মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রীনা বরা। তাকে সমর্থন জানিয়ে তার ধর্না মঞ্চে আসেন আদিবাসী বিকাশ পরিষদের মাল ব্লক সম্পাদক বাবলু মাঝি, সরণা সমাজের চন্দন লোহার সহ বিভিন্ন লোকজন।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রীনা বরা মাল থানায় লিখিত এজাহার করে জানান যে ব্লক সভাপতি সুশীল কুমার প্রসাদ তাকে শয্যাসঙ্গী করতে চেয়ে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি তার প্রস্তাবে সন্মত না হওয়ায় তাকে নানা ভাবে হেনেস্তা করা হচ্ছে।


সেই এজাহারের পর থেকে গত ছয় দিন ধরে ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ডামডিম বাজার ও কুমলাই চাবাগান এলাকায় সরগরম হয়ে ওঠে। রীনা বরার বাড়ি কুমলাই চাবাগানে এবং সুশীল কুমার প্রসাদের বাড়ি ডামডিম বাজারে। মিছিল পালটা মিছিল, স্লোগান পালটা স্লোগানে উত্তাল হয় ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা।

পুলিশি চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর শুক্রবার সকালে বিচার চেয়ে সদলবলে মাল থানার সামনে ধর্নায় বসেন রীনা বরা। ধর্না মঞ্চে বসে রীনাদেবী বলেন, গত ২৯ এপ্রিল আমি এজাহার করেছি। দলের কাছেও জানিয়াছি কিন্তু, কোন বিচার পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে আজ অনশন ধর্নায় বসেছি “।খবর পেয়ে তার ধর্না মঞ্চে আসেন মাল পৌর সভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা। তিনি রীনাদেবীকেবোঝান।

শ্রী সাহা বলেন, দলের নির্দেশ ও বার্তা আমি রীনাকে জানিয়েছি। ও ভালো মেয়ে পঞ্চায়েত সমিতির নেত্রী। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। তৃনমুল কংগ্রেস নেতৃত্ব যখন ব্যাস্ত তখন দুফুরের পর আচমকা থানার সামনে সুশীল প্রসাদের লোকজন পাল্টা ধর্নায় বসে। এতেই সরগরম হয়ে ওঠে মাল থানা চত্বর। বিকাল পর্যন্ত পরস্পর বিরোধী ধর্না চলতেই থাকে। জানাগেছে, সন্ধ্যায় মাল পৌরসভায় দলের পক্ষ থেকে মিমাংসার জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছে।






