





#মালবাজার: হরিয়ানার হিসারে ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের আওতায় অনুষ্ঠিত জাতীয় স্তরের শিবিরে একক সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনের অসামান্য কৃতিত্ব দেখালো মাল শহরের প্রতিভাবান সংগীত শিল্পী আহিরী নাহা। চব্বিশ বছর বয়সী আহিরী বর্তমানে কলকাতার বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটি থেকে বিএড করছে। এর পূর্বে ২০২২ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিউজিক ৯৬.২৫ (ছিয়ানব্বই দশমিক পঁচিশ) শতাংশ নম্বর অর্জনের কৃতিত্ব তার ছিল।


সেটা ইউনিভার্সিটিতে দ্বিতীয় সেরা। সংগীতের পরিবার থেকে উঠে আসা আহিরী সংগীত জগতে আরও নতুন দিগন্ত প্রসার করতে চায়। মাল শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কলোনিতে নাহা পরিবারের বাড়ি। আহিরীর বাবা বঙ্কিম চন্দ্র নাহা মাল বাজারে বাপী বলে পরিচিত। তিনি বিশিষ্ট তবলাবাদক। মা রশ্মি নাহা গৃহবধূ। তিনিও গান ভালোবাসেন। আহিরীর ঠাকুমা পারুল রানী নাহা স্বয়ং প্রবীণ সংগীত শিল্পী।


তার কাছেই শৈশবে আহিরীর গান শেখার সূত্রপাত। মেয়ে বেলা থেকেই আহিরী সংগীতকে ভালোবেসেছিল। নানা শিক্ষা গুরুদের কাছ থেকে সংগীতের প্রশিক্ষণও নেয়। বহু প্রতিযোগিতাতে সাফল্য মেলে। মাল শহরের সিজার স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী সে। স্কুলের অনুষ্ঠান গুলিতে বরাবর সংগীতে ছাপ ফেলত। স্কুলের আভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতায় বহুবার প্রথম হয়েছে। প্রথম থেকেই তার লক্ষ্য ছিল সংগীত নিয়েই।

সঙ্গীতেই কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে। এরপর রবীন্দ্রভারতীতেই সংগীতের খেয়াল বিভাগকে স্নাতকোত্তর হন। বর্তমানে সংগীতকেই প্রাধান্য দিয়ে বিএড করছে। সম্প্রতি হরিয়ানার হিসারে চৌধুরী চরণ সিং হরিয়ানা এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটিতে ন্যাশনাল সার্ভিস স্কীমের আওতায় জাতীয় ঐক্য শিবির হয়। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করে।

কেন্দ্রের যুব এবং ক্রীড়া বিভাগ শিবির পরিচালনা করে। সেখানে ১৩ টি রাজ্যের প্রতিযোগীদের মধ্যে সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনের কৃতিত্ব আহিরী দেখিয়েছে। আহিরীর কথায়, আমি সংগীতকে ভালোবাসি। সংগীতের সাধনা করি। অনুশীলনেই মগ্ন থাকি। ভবিষ্যতে সংগীতকে আঁকড়ে ধরেই বাঁচতে চাই। গোটা পরিবার তার সাথে রয়েছে। তার প্রথম শিক্ষা গুরু ঠাকুমা পারুল রানী নাহা বলেন ও প্রথম থেকেই সংগীত শিখতে দারুন সাড়া দিত। বাবা বঙ্কিম চন্দ্র নাহা বলেন মেয়ের প্রথম থেকেই সংগীতের টান ছিল।

আমরা তা বরাবর অনুভব করেছি। ও সংগীতেই যে ভবিষ্যতে পড়তে চায় তা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। আমরা ওকে উৎসাহই জুগিয়েছি। মা রশ্মি নাহা বলেন আমরা আশা করি ও ভবিষ্যতেও মালবাজারের জন্য আরও সফলতা আনতে পারবে। এদিকে আহিরী ইতিমধ্যে দূরদর্শন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছে। সুরেলা কন্ঠে বরাবর ছাপ ফেলেছে। মালবাজার ও তার আরও সাফল্যের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।





