





#মালবাজার: বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী মাল ব্লক সভাপতি সুশীল কুমার প্রসাদ (বাবুয়া)কে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবীতে পথে নামলো ডুয়ার্সের আদিবাসী সমাজ। এই দাবী জানিয়ে মহকুমা শাসক ও মাল থানায় স্মারক লিপি জমা দিল। গত ১২দিন ধরে ডুয়ার্সের মাল এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সুশীল কুমার প্রসাদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রীনা বরা’র বিরোধ প্রকাশ্যে আসে।


রীনা বরা গত ২৯ এপ্রিল মাল থানায় সুশীল কুমার প্রসাদের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এনে এজাহার করে। এরপর পরস্পর তরজা চরমে ওঠে। বাবুয়া প্রসাদ রীনা বরাকে নোংরা মহিলা বলে অবিহিত করে। রীনা দেবী ৫ মে ন্যায় বিচার চেয়ে থানার সামনে ধর্নায় বসেন। পাল্টা সুশীল প্রসাদের লোকজন ধর্নায় বসে। পরে সুশীল প্রসাদের লোকেরা ধর্না তুলে নিলেও রীনা বরা ধর্না চালিয়ে যান। ৬মে রাতে রীনা দেবী অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মন্ত্রী তাকে খাওয়ার খাওয়ান।


অবশেষে গত ৮মে জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ সুশীল প্রসাদকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেন।দল বাবুয়া প্রসাদকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেও অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ সুশীল প্রসাদকে গ্রেপ্তারের দাবীতে অনড় থাকে। গ্রেপ্তারের দাবীতে বুধবার রাস্তায় নামে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। এদিন কয়েকশ আদিবাসী সমাজের মানুষ মালবাজার শহরে মিছিল করে মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে আসেন। সেখানে বাবুয়ার কুশপুত্তলি পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায়। পরে এসডিও’র কাছে স্মারক লিপি দেয়।

আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য কমিটির কার্যকরী সভাপতি তেজকুমার টোপ্পো বলেন, গত ২৯ এপ্রিল রীনা বরা মাল থানায় এজাহার করেন সুশীল প্রসাদের বিরুদ্ধে। একজন আদিবাসী মহিলা যখন একজন জেনারেল কাস্টের পুরুষের বিরুদ্ধে এজাতীয় এজাহার করেন তখন পুলিশকে বিশেষ ধারায় মামলা করতে হয়।ট্রাইব্যাল অ্যাক্রোসিটি অ্যাক্টে মামলা হলে বাবুয়া জামিন পেত না। আমরা চাইছি অবিলম্বে সুশীল কুমার প্রসাদকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে বিশেষ ধারায় মামলা করতে হবে”।

অন্যদিকে বাবুয়া প্রসাদের পক্ষে নামলেন ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ জন সদস্য সহ প্রধান তারা শৈব।গতকাল তারা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেনী কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে পত্র তুলে দেন। ডামডিমের প্রধান তারা শৈব বলেন, “দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। সুশীল প্রসাদকে যখন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো তখন রীনা বরাকে তার পদে বহাল রাখা হলো কেন? এজন্য আমরা পদে থাকতে চাইনা। আমরা লিখত ভাবে মন্ত্রীকে জানালাম”।






