





#ইসলামপুর: কুর্মী মাহাতোদের এসটি ভুক্তিকরনের চক্রান্তের প্রতিবাদে এবং ৬ দফা দাবীতে আজ সারা বাংলা জুরে বনধ ডেকেছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। আজ রাজ্যের জেলায় জেলায় সকাল থেকে বনধের মিশ্র ছবি ধরা পরে। একই ছবি উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকেও। চোপড়া থানার কালাগছ এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আদিবাসীরা।


আদিবাসীদের উপর অত্যাচার ও সামাজিক ভাবে বহিষ্কৃত আদিবাসী পরিবার গুলিকে সাংবিধানিক ন্যায় দেওয়ার দাবি সহ একাধিক দাবিতে এদিন সোচ্চার হন তারা। জাতীয় সড়ক অবরোধের জেরে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়ে পরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় চোপড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।


বেশকিছু অবরোধ চলার পর অবরোধ তুলে নেন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। তবে আগামী দিনে তাদের দাবি পূরণ না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ার দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি সরকার মুর্মু।রায়গঞ্জেও এদিন মিশ্র সাড়া পরেছিল বনধের। এদিন সকাল থেকেই রাস্তা ঘাট সচল ছিল। বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস কোনো ঝুঁকি নেয়নি। তারা গাড়ি বন্ধই রেখেছিল।

কিন্তু অন্যান্য যানবাহন সমস্ত গতিশীল ছিল। রাস্তায় দেখা যায় টোটো, অটো, পিকাপ ভ্যান সহ বিভিন্ন যানবাহন গুলিকে। মূল রাস্তার পাশে কিছু দোকানপাট বন্ধ ছিল। যদিও অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলা দেখা যায়। এদিন সকালে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ব্যানারে রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরে রাস্তার মধ্যে পিকেটিং করেন সংগঠনের সদস্যরা। এই কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের জেলা সভাপতি দুর্গা মুর্মু।

অন্যদিকে এদিন সকাল থেকেই কালিয়াগঞ্জের রশিদপুর এলাকায় রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্যসড়ক অবরোধ করা হয়। সকাল থেকে বন্ধ ছিল দোকানপাট। যানবাহনেরও তেমন দেখা মেলেনি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর ছিল পুলিশ।






