





#মালবাজার: জমি দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ক্রান্তি ব্লকের অন্তর্ভুক্ত রাজা ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেলের পাড় টুম এলাকা। জমির প্রকৃত মালিক কে? এই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা পরে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। লাঠি সোটা হাতে নিয়ে চলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ এমনটাই স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন জখম হয়েছে।


তাদেরকে মাল বাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অমৃতা রাই ও লক্ষ্মী রাই এর চিকিৎসা চলছে সেখানে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ক্রান্তি ফাঁড়ির ওসি সুব্রত গুণ বাহিনী নিয়ে চট জলদি পৌঁছে যান। তারপর এক এক করে মাল ও মেটেলি থানা থেকে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘনাস্থলে ছুটে আসেন মাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবিন থাপা এবং মেটিলির আই সি নিলম সঞ্জীব কুজুর।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াংদেন ভুটিয়া জলপাইগুড়ি ডিএসপি ক্রাইম ব্রাঞ্চ বিক্রমজিত লামা।ক্রান্তি র বিডি ও প্রবীর কুমার সিনহা সহ অন্যান্য আধিকারিক গণ। এনিয়ে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের মাল ব্লক সম্পাদক বাবলু জানান, প্রায় ৩০ বছর ধরে ওই জমিটি জনৈক দীপা শর্মা, বিষ্ণু শর্মা ও স্বপ্না রায় সহ কিছু আদিবাসী পরিবার চাষ আবাদ করে করে খাচ্ছিলেন।

মাস খানেক আগে পলতি রাই, গোপাল রাই ও বিপ্লব রাই ওই জমিতে ঘর করে আশেপাশের মানুষের জমি দখল করে নিচ্ছিলেন। আজ লোকজন কে সঙ্গে নিয়ে এসে ওই জমিটির প্রকৃত মালিক তারা বলে দাবি করেন এবং এক্ষুণি জমি খালি করে দিতে হবে বলে হুমকি দিতে শুরু করার পরই ওই ঘটনার সূত্রপাত হয়। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ক্রান্তি এলাকার কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়।

সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ গোপাল রাই ও বিপ্লব রাই নামের দুই জনকে গ্রেফতার করে বলে জানা গেছে। এলাকায় পুলিশ নজরদারি চালাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।






