News Britant

না জানিয়ে সভা, ক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি

Listen

( খবর টি শোনার জন্য ক্লিক করুন )

#মালবাজার: দলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির খাসতালুক চা বাগানে দলের শ্রমিক সংগঠনের সভা। অথচ সভাপতি বিষয়টি অবগত নয়। এতেই ক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রীনা বরা। জানাগেছে, বুধবার বিকালে ডুয়ার্সের মাল ব্লকের কুমলাই চাবাগানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত আইএনটিটিইউসির একটি সভা ছিল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি রাজেশ লাকরা।
সভাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট পুলিশ ছিল। অথচ কুমলাই চাবাগানের বাসিন্দা মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রীনা বরা কিম্বা তৃনমুল কংগ্রেসের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দীপক গুরুংকে সেই সভার কথা জানান হয়নি। এতেই ক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাজেশ লাকরা প্রাইমারি স্কুলের মাঠে এসে  চাবাগানে সভা করেছে  আমাকে বা পঞ্চায়েত সদস্যকে জানানো হয়নি। শ্রমিক সংগঠনের সভায় যথেষ্ট পুলিশ ছিল।
শ্রমিকদের সভা হয় কিন্তু, পুলিশি নিরপত্তার প্রয়োজন হয় না। এভাবে পুলিশ নিয়ে সভা করলে শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বার্তা যাবে। পুলিশ নয় আমাদের জানালে আমরা লোকজন নিয়ে যেতাম। পুলিশ নিয়ে সভা করা ঠিক নয়। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চাবাগানে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। এসব কাজে বিভ্রান্তি হবে।
এনিয়ে রাজেশ লাকরা কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন কোন সভা হয়নি। তবে ঘরোয়া আলোচনা ছিল। তবে রাজেশ ঘনিষ্ঠ কুমলাই চাবাগানের বাসিন্দা তথা ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইন্দ্রজিৎ দাস (মনোজ) বলেন, সম্প্রতি রাজ্য সরকার চা-শ্রমিকদের ১৮ টাকা মজুরি বাড়িয়ে ছিল। মালিকেরা মামলা করে সেটা আটকে দিয়েছে।
এনিয়ে ঘরোয়া বৈঠকে রাজেশ লাকরা এসেছিল। এই ঘটনায় ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলো। গত কয়েকদিন আগে রীনা বরা এবং সদ্য অপসারিত তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি সুশীল প্রসাদের দ্বন্ধ প্রকাশ্যে আসে। বারবার এভাবে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের যথেষ্ট বিব্রত দল।

Leave a Comment

Also Read