



#কলকাতাঃ “ইমার্জেন্সি সার্ভিস ফর হসপিটাল” লিখেও মিলল না সাহায্য, শ্যামবাজারে কলকাতা পুলিশের হাতে আটক হলো এক অটোচালক। সাপ্তাহিক লকডাউনের দিনে অটো চালক অটো নিয়ে রাস্তায় বের হন শ্যাম বাজারের মোড়ে আটক করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কর্তব্যরত কলকাতা পুলিশ আধিকারিকরা। কেন তিনি লকডাউনের দিনে রাস্তায় বের হয়েছেন?সেই প্রশ্নের উত্তরে অটোচালক জানান তার স্ত্রী শ্যামবাজারের কাছে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন।
স্ত্রীর প্রয়োজনে একটি ওষুধ আনতে তিনি বাড়ি যাচ্ছেন। তাই অটো নিয়ে তিনি রাস্তায় বের হয়েছেন। তখন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসাররা অটোচালকের কাছ থেকে নার্সিংহোমের এবং রোগীর দরকারি কাগজপত্র দেখতে চাইলে অটোচালক সেই কাগজপত্র দেখাতে অপারক হন। অটোচালক জানান তার শালি তার স্ত্রীর কাছে নার্সিংহোমে রয়েছেন। সমস্ত কাগজপত্র তার কাছে রয়েছে ।তাই নিজের কাছে কোনও কাগজপত্র নেই। এরপর যখন পুলিশ অফিসাররা অটোচালককে চেপে ধরেন যে তার কাছে নার্সিংহোমে রোগীর কোনো কাগজপত্র নেই?
তাহলে তিনি কিভাবে অটো নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন বা আগে থেকে কিভাবে অটোর সামনের লাগিয়ে রেখেছেন জরুরী পরিষেবার জন্য অটো বের হয়েছে? দীর্ঘক্ষন অটোচালক এবং পুলিশ অফিসারদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক চলতে থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অটোচালকের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পায়নি কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা ।শেষ পর্যন্ত অটো চালকসহ অটো আটক করা হয়। প্রসঙ্গত সকাল থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে চলছে পুলিশের নাকা চেকিং। যে সমস্ত মানুষ এই লকডাউন এর দিনে এবং বৃষ্টি মাথায় করে রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা কেন বাইরে বের হয়েছেন এবং কোথা থেকে আসছেন এবং কোথায় যাচ্ছেন?
সমস্ত জরুরি নথিপত্র তারা চেক করছেন ।যদি ব্যক্তিদের কাছ থেকে সদুত্তর পান এবং তাদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকে তবে পুলিশ আধিকারিকরা তাকে ছেড়ে দিচ্ছেন। প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার করে জানানো হয়েছে সাপ্তাহিক লকডাউনের দিনে মানুষ যেন অহেতুক বাড়ির বাইরে বের না হয় তা সত্ত্বেও কিছু মানুষ নিয়ম ভঙ্গ করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন।
