



দেবলীনা ব্যানার্জী, রায়গঞ্জ: শুক্রবার সকালে রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ পালপাড়া এলাকায় এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃত ব্যবসায়ীর নাম ভজন পাল (৩৮)। মানসিক অবসাদে তিনি আত্মহত্যা করেন বলেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। নার্সারির ব্যবসা ছিল ভজনবাবুর। লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেই ব্যবসা। ক্ষতি হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। মনমরা হয়ে থাকতেন তাই। শুক্রবার সকালে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় অনেকবার ডেকেও সাড়া পাননি বাড়ির লোক।
পরে দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের নাগপুরে নার্সারির ব্যবসা করতেন সুভাষগঞ্জের বাসিন্দা ভজনবাবু। রায়গঞ্জ থেকেই চারাগাছ ও শ্রমিক নিয়ে গিয়ে সেখানে ব্যবসা করছিলেন তিনি। আচমকা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। শুরু হয় দেশজুড়ে লকডাউন। নষ্ট হয়ে যায় হাজার হাজার ফুল ও ফলের দামী চারা।
প্রচুর টাকা ক্ষতির মুখে পড়েন তিনি।এরইমধ্যে কোনওরকমে নাগপুর থেকে শ্রমিকদের নিয়ে ফিরে আসেন। রায়গঞ্জে এসে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকেন তিনি। তাঁর আত্মীয়রা বলেন, ‘‘ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়ে যাওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ভজনবাবু। কারও সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তা বলতেন না। এই অবসাদেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।’’ ভজনবাবুর মৃত্যুতে সুভাষগঞ্জ পালপাড়া এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
