



#প্রসেনজিৎ সরকার: হেমন্তের প্রাক্কালে নবান্নে অবস্থাপন্ন চাষীদের গোলা নতুন ধানে পরিপূর্ণ হলেও প্রান্তিক চাষীদের দিনযাপন খুব একটা সুখকর হয়না। শীতের আমেজ শুরু হতেই সেই সমস্ত লোকেদের গৃহিণিরা মোড়ে মোড়ে মাটির উনুন জ্বালিয়ে, হাড়ির ওপরে সরা বসিয়ে চালের গুঁড়ো দিয়ে ভাপা পিঠা বানাতে বসে পড়েন। এই ভাপাই যেন জানান দেয় শীতের আগমনির আভাস।
একটা সময় এই ভাঁপা পিঠা রাজবংশী সম্প্রদায়ের জনপ্রিয় খাদ্য হলেও সম্পূর্ণ রাসায়নিক বিহীন, বিশুদ্ধ ও বেশ সুস্বাদু হওয়ায় সর্বশ্রেণীর মনে জায়গা করে নিয়েছে এই ভাপা পিঠা। লোকেরা সকাল ও সন্ধ্যায় শরীরচর্চা বা আড্ডায় বেরিয়ে এই ভাপা পিঠার স্বাদ নিয়ে থাকেন। শিলিগুড়ি মোড়ের এক ভাপা পিঠা প্রস্তুত কারক দম্পত্তি বুলিরানি বসাক ও মোহন বসাক প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় ভাপা পিঠা বানাতে বসে যান এবং রাত্রি প্রায় ১১ টা পর্যন্ত ভাপা প্রস্তুত করেন।
তারা জানান যে সারা বছর তারা দিনমজুরের কাজ করে যা আয় করেন তাতে তাদের কোনোমতে দিন গুজরান হয় তাই শীতের আগমন হতেই তারা ভাঁপা প্রস্তুত করতে শুরু করে দেন এবং তা ২ মাস পর্যন্ত চলে তাতে তাদের সংসার খুব একটা স্বচ্ছল না হলেও কিছুটা আয়ের যোগান হয়। ভাপা পিঠা যেমন সুস্বাদু খাবার তেমনি শীতকালে প্রচুর দিনমজুর আছে যাদের আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়ায় এই ভাপা পিঠা।
