



#সুশান্ত নন্দী, ইসলামপুর: শরৎ এসে আলগোছে ছুঁয়ে ফেলেছে তুলো মেঘের আকাশকে ।হিন্দোলে মেতেছে কাশবন। কিন্তু প্রকৃতির সেই খুশি আসেনি মানুষের মনে। আর তাই বাঙালির সবচাইতে বড় উৎসব দুর্গোৎসব এবার যে ম্লান হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ শরৎ শুরু হওয়ার বেশ কিছুদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত বড় বড় পূজা কমিটি, ক্লাব বা সংগঠনের তরফে প্রতিমার বায়না আদৌ হয়নি অর্থাৎ কুমোরটুলির মুখোমুখিই হননি উদ্যোক্তারা। এমতাবস্তায় মৃৎশিল্পীরা উদ্বিগ্ন।
তারা তো সারাবছর চেয়ে থাকে এই উৎসবের দিকে। তাদের রুজি রোজগারে চরমভাবে থাবা বসিয়েছে করোনা ।বাসন্তী পুজোর বাজনা অনুযায়ী প্রতিমা তৈরি হলেও করোনার জেরে সেই প্রতিমাই নিতে আসেনি অনেকেই। বানচাল হয়ে গেছে পূজোর উদ্যোগ। আর সেই সময় ধরেই চলছে ধারাবাহিকভাবে সংকট। পুজো বা উৎসবের দিকে কেউ এগিয়ে আসছেন না। ফলে কুমোরপাড়ায় প্রাক আগমনীর মুহূর্তে এখন বিষাদের ছায়া।
ইসলামপুরের দুই মৃৎশিল্পী স্বপন পাল ও সলিল পাল জানান, তেমনভাবে কোন বড় পূজা কমিটি বা ক্লাবগুলির অর্ডার নেই। হাতেগোনা কয়েকটি ছোট ঠাকুর বানাচ্ছেন তারা। তাও কি যে হবে জানা নেই। পাশাপাশি কারিগরদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করানো যাচ্ছে না। পরিস্থিতি কোন দিকে এগোবে তা অনিশ্চিত। দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে হাত লাগাননি। কারণ কাজ শুরুর জন্য কোন বরাত পাওয়া যায়নি।
