#মালবাজার: টানা বিরোতির পর অবশেষে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি। এক ধাক্কায় তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমে এলো। সেই সাথে খুশির হাওয়া ডুয়ার্সের চা বলয়ে। গত তিনমাস ধরে ডুয়ার্সের আকাশ ছিল উজ্জ্বল ও পরিস্কার। বৃষ্টির অভাবে শুখিয়ে গিয়েছিল নদী নালা। এমনকি বাড়ির কুয়োর জল শুখিয়ে তলানিতে ঠেকেছিল। তীব্র জলুসংকটে পড়েছিল মালবাজার শহর সহ আশেপাশের এলাকার মানুষ।
সবচাইতে সমস্যায় পড়েছিল ডুয়ার্সের চাবাগান গুলি। চা আবাদের বৈশিষ্ট এইরকম যে বর্ষার মরসুমে সবুজ কাঁচা পাতা তোলা চলে। যার থেকে তৈরি হয় আমাদের প্রিয় পানীয় চা। ডিসেম্বর মাসে পাতা তোলা থামিয়ে গাছের কলম শুরু হয়। জানুয়ারি মাসে কলমের কাজ শেষ হয়। এই সময় সার দেওয়া ও সেচের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে চা গাছের জন্য বৃষ্টি খুবই আবশ্যক।
এবার মার্চের মধ্য সময় পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় চা বাগান গুলি বহু টাকা খরচ করে ভৌমজল বা নদীর জল সংগ্রহ করে সেচ দিতে হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই চা বাগান গুলির খরচ বাড়ছিল। এমতাবস্থায় সবাই তাকিয়ে ছিল আকাশের দিকে। অবশেষে বুধবার থেকে শুরু হয় বৃষ্টি চলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
শুক্রবার দিনের বেলা আকাশ পরিস্কার হলেও গভীর রাত থেকে আবার শুরু হয় অঝোর ধারায় বৃষ্টি। শনিবার দুফুর পর্যন্ত চলে বৃষ্টি। টানা বৃষ্টি হওয়ায় চা বলয়ে স্বস্তি ফেরে। ডুয়ার্সের সোনগাছি চাবাগানের প্রবীণ ম্যানেজার রাধেশ্যাম খান্ডেলওয়াল জানান, এই বৃষ্টির অত্যন্ত জরুরি ছিল। জল সংগ্রহ করে সেচ দিতে ব্যয় বাড়ছিল। আর একটু বৃষ্টি দরকার।
স্বস্তি ফিরেছে কৃষি বলয়ে। ক্রান্তি এলাকার অভিঞ্জ কৃষক বিমল মন্ডল জানান, বৃষ্টির অভাবে মাঠ শুখিয়ে গিয়েছিল। বোরো সহ অন্যান্য ফসলের সমস্যা হয়েছিল। সেখানে এই বৃষ্টি অনেকটা কাজ দেবে। পাহাড় ও ডুয়ার্সে বৃষ্টির জেরে নদী গুলিতে জলের সঞ্চার হয়েছে। তাপমাত্রা কমেছে। এটাই স্বস্তি।
Author: News Britant
Post Views: 199