#শুভজিৎ দাস, রায়গঞ্জ: ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন বাকি। কাজেই প্রার্থী ঘোষণা থেকে প্রচার সব ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা তুঙ্গে। ব্যতিক্রম নয় উত্তর দিনাজপুর জেলাও। সময় যত গড়াচ্ছে রাজনৈতিক উত্তাপও ক্রমশই বাড়ছে। জেলার ৫নং রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী প্রচারের ক্ষেত্রে যথেষ্টই এগিয়ে রয়েছেন।
দেওয়াল লিখনেও এগিয়ে তৃণমূল। একদিকে ব্যবসায়ী অন্যদিকে ‘জনদরদী ‘নেতা বলে পরিচিত কৃষ্ণবাবু জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে প্রচারে ঝড় তুলছেন। জয়ের ব্যাপারেও চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী তিনি। কিন্তু রায়গঞ্জ আসনে তার পথের কাঁটা একমাত্র তার নিজেরই রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি রায়গঞ্জ আসনে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। কিন্তু পরবর্তীতে যোগ দেন তৃণমূলে। আর সেখানেই উঠছে প্রশ্ন?
ইতিমধ্যেই বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার দাবি করেছেন, ‘কৃষ্ণ বাবু ভোটে জিতলে অবশ্যই বিজেপিতে যাবেন। কারণ তিনি উন্নয়নের পক্ষে থাকতে চান আর দেশের উন্নয়ন একমাত্র মোদীজির নেতৃত্বেই সম্ভব। ‘ জেলা সভাপতির এহেন মন্তব্যে বিতর্ক বাড়ছে জেলায়। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও রবিবার এই মন্তব্যকে খানিকটা সমর্থন করেন। সদ্য ঘোষিত বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী আলী ইমরান রমজ ইতিমধ্যেই বিজেপি তৃণমূলের আঁতাতের দিকে কটাক্ষ করেছেন। তার কথায় ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই আসনটি বিজেপিকে তুলে দিতে চেয়েছেন কৃষ্ণ কল্যানিকে প্রার্থী করে।’
যদিও তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী এসব বিতর্কে কান দিতে রাজি নন। তার কথায়, ‘আমি যতদিন বেঁচে আছি, তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকবো। বিজেপি আগে নিজেদের প্রার্থী ঠিক করুক। ওদের তো বরযাত্রী আছে বর নেই।’